প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নারী শ্রমিক জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন দেশে যান। তবে প্রায়ই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে যাওয়া এসব শ্রমিকদের নানাভাবে হয়রানির মুখে পড়তে হয়। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দূতাবাসগুলোর কর্মকর্তাদের যথাযথ ভূমিকা দেখা যায় না। তবে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা নারী শ্রমিকদের খোঁজ নিলে তাদের হয়রানি কমবে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘নারী অভিবাসী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে নূরুন নাহার হেনা বলেন, অভিবাসী নারীরা তাদের বৈদেশিক আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিয়মিত রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সপ্তাহে অন্তত একদিন অভিবাসী নারী শ্রমিকদের খোঁজ-খবর নিতে হবে। নূরুন নাহার হেনা বলেন, বিদেশে আমাদের প্রবাসী নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। তাদের সে চিত্র উঠে আসে না। তাই এ অভিবাসী নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অপরিসীম।