ইলিশ ধরা বন্ধে বরিশালের নদীতে অভিযান শুরু

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

ইলিশ শিকার বন্ধে শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বরিশালে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। গত বুধবার রাত ১২টা থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্রকে সঙ্গে নিয়ে একাধিক টিম কীর্তনখোলা নদীতে মাছ ধরা বন্ধে নৌ টহল শুরু করেছে। এই ২২ দিন সাড়ে ৩০০ নৌ পুলিশ নদী ও খালে নিয়োজিত থাকবে। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো- বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর। এছাড়া দেশের ৩৭ জেলার ১৫৫ উপজেলার অংশ বিশেষ এই নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মধ্যে চাঁদপুর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার চর পিয়াল থেকে মেঘনার শাহবাজপুর পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার, পটুয়াখালীর চর রুস্তম ও তেতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার, শরীয়তপুরে নরিয়া ও চাঁদপুরের মতলব উপজেলায় মেঘনার ২০ কিলোমিটার ও বরিশালের হিজলা মেহেন্দীগঞ্জের মেঘনা, কালাবদর ও গজারিয়া নদীর ৮২ কিলোমিটার এলাকা এই নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল কুমার দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

মাইকিং করা হয়েছে, মসজিদ ও মন্দির থেকেও এই বিষয়ে প্রচারণা চালানোর কথা বলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২৫ কেজি করে বরাদ্দের চাল দেওয়া হবে। এ সময় আইন ভেঙে ইলিশ শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে। বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বরিশালসহ সারা দেশে শুরু হয়েছে ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এ সময় ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস্য বিভাগ।

আগামী ২২ দিন অর্থাৎ ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত দেশের কোনো নদনদীতে ইলিশ ধরা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা না মানলে আইনে এক থেকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকা এবং নদনদীতে মা-ইলিশ রক্ষায় সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি কাজ করবে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী।