বেসিক ৬৫ শতাংশ রেখে ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান। যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গ্রিন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগ। তাদের দাবিগুলো হলো- বেসিক ৬৫ শতাংশ রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণ; মজুরি ঘোষণা হওয়ার প্রথম বছর থেকেই প্রতি বছর মোট বেতনের ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো; সাতটি গ্রেডের পরিবর্তে পাঁচটি গ্রেড করা এবং অনুপাতিক হারে সব গ্রেডে সমান হারে মজুরি বাড়ানো; আগামী নভেম্বরের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে ডিসেম্বর মাস থেকে সব গার্মেন্টস কারখানায় বাস্তবায়ন করা; কারখানাভিত্তিক রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা। মানববন্ধনের বক্তারা বলেন, বিপর্যয়কর অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে জীবন ও স্বাস্থ্যের চরম ঝুঁকি নিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেও গার্মেন্টস শ্রমিকসহ অন্যান্য শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ বর্তমানে না খেয়ে মরতে বসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকৃত আয় অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। জীবনযাপন ব্যয় অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কোনোভাবেই খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তারা বলেন, নিজেদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মালিকপক্ষকে বলতে গেলেই ন্যায্য পাওনা না দিয়েই চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। কখনও কখনও আইনের অপব্যবহার করে আবার কখনও আইনের তোয়াক্কা না করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
এতে শ্রমিকরা নিষ্ঠুর অমানবিক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। তাই আমরা গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণসহ পাঁচ দফা দাবি জানাচ্ছি। টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস লেবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার, বাংলাদেশ প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন প্রমুখ।