এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অধীনে ঢাকা শহরের এলাকাভিত্তিক কৃষকের বাজার। এর আওতায় স্থাপিত ১৬টি বাজার এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান রয়েছে। নগরবাসীকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবারের যোগান নিশ্চিত করে চলেছে। ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের কার্যক্রমসমূহকে চলমান রাখতে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় একটি আরবান ফুড ডেস্ক তৈরি করা হয়েছে। কৃষকের বাজারগুলোকে টেকসই করার উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে কৃষকের বাজার টেকসইকরণের কৌশল নিরূপণে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় বক্তারা এ বাজারগুলোকে টেকসই করার বিষয়ে মত দেন। আয়োজনে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন বিভাগের যুগ্ম সচিব নুমেরী জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ-১ এর উপসচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার নাঈমা আকতার। কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন, সাসটেইনেবেল এগ্রিকালচার স্পেশালিস্ট জাহাঙ্গীর আলম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। গাউস পিয়ারী বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য এবং বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষকের অবদান অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রে কৃষকের বাজার একটি যথোপযোগী উদ্যোগ এবং উদ্যোগটি টেকসই করা হলে ভোক্তা ও কৃষক উভয়েই উপকৃত হবেন। ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায় দেশের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা পরিবর্তনে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজারগুলোকে স্থায়ী করার লক্ষ্যে এ বিষয়ে কৃষক, ক্রেতা ও কাউন্সিলর কার্যালয়ের একটি সমন্বিত সুপারিশমালা প্রস্তাবনা আকারে প্রদান করা হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা সহজ হয়। বাজার পরিচালনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সিটি করপোরেশন বা স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি চিঠি প্রদান করা যেতে পারে। মূল্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের পণ্য উৎপাদনে ব্যয় অনুযায়ী লাভ নিশ্চিত করে দাম নির্ধারণ করা হলে ভোক্তারা উপকৃত হবেন।