রাজধানীর নিউ মার্কেটে জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

শুরু হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে নতুন কাপড়ের চাহিদা বরাবরই থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। অনেকেই পূজার কেনাকাটা শুরু করেছেন। ভিড় জমতে শুরু করেছে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে।

গতকাল রাজধানীর নিউ মার্কেটে সরেজমিন দেখা যায়, পূজার কেনাকাটা শুরু হয়েছে। মার্কেটে ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। ক্রেতাদের মধ্যে নারী, তরুণ-তরুণীরাই বেশি। অনেক শিশু আবার বাবা-মায়ের হাত ধরে কেনাকাটা করতে এসেছে। মার্কেট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রোতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের কাপড়, জিনস্রে প্যান্ট এবং টি-শার্টের চাহিদা বেশি। এছাড়া সাজসজ্জার দোকানেও ভিড় দেখা গেছে। নিউ মার্কেটের সুমাইয়া ফেব্রিক্স নামে একটি দোকানে দেখা যায়, একদামে থ্রিপিস বিক্রি করছেন বিক্রেতা মিঠু। এ দোকানে ৬০০ টাকা, ৮৫০ টাকা, ১১৫০ টাকা দামের থ্রিপিস রয়েছে। এ বিক্রেতা বলেন, মোটামুটি ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আমার একদরের দোকান। কাপড় দেখে যার পছন্দ হচ্ছে সে কিনছে। আমার দোকানে তরুণী এবং নারী কাস্টমারই বেশি। ভি-ওয়্যার নামের একটি দোকানের কর্মচারী রাকিব বলেন, আমাদের দোকানে প্রিন্ট এবং চেকের শার্ট বেশি। আমরা এ প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি করি। এখানে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে শার্ট পাওয়া যায়। আগে যেখানে দিনে দশ-বারো হাজার টাকার বিক্রি হতো এখন বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। বেচাকেনা আশা করি ভালো হবে। মায়ের সঙ্গে পূজার কেনাকাটা করতে আসা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সুজয় জানায়, পূজার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাবো তাই নতুন জামা-প্যান্ট কিনতে এসেছি। একটা জামা কিনেছি, এখন প্যান্ট কিনবো। নিউ মার্কেটের তৃতীয় তলায় বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক বিক্রি করেন মোহাম্মদ হাসান।

তিনি বলেন, এবার বাচ্চাদের গোল গলার টি-শার্ট, থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট, হাফপ্যান্ট এবং ফুলপ্যান্টের চাহিদা বেশি। এছাড়া ফ্রগ এবং দেশি কাপড়ের চাহিদা আছে। বিক্রি আগের চাইতে ভালো। কাস্টমার বাড়ছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার এবং শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তবে পূজা শুরুর আগ পর্যন্ত বাড়তি বিক্রির আশা দেখছেন তারা। এছাড়া শাড়ির দোকানেও বাড়তি ভিড় দেখা গেছে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাদা শাড়ি এবং ধুতির চাহিদাও রয়েছে বেশ। মূল মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও বেশ ভিড় দেখা গেছে। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় অনেকে এখান থেকে কেনাকাটা সারছেন। ফুটপাতের জুতা ব্যবসায়ী ফারুক বলেন, অন্য সময় দুপুর পর্যন্ত ২০ জোড়া জুতা বিক্রি করতে পারি না। আজ ৪৫ জোড়ার মতো বিক্রি করেছি। পূজার জন্য বিক্রি একটু বেশি। শুধু কাপড় নয়, সাজসজ্জার দোকানেও ভিড় বেড়েছে। মেহেদী হাসান নামের এক বিক্রেতা বলেন, আমার কাছে ৩০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামের আইটেম আছে। যার যেটা পছন্দ সে সেটা কিনছে। বিক্রি সামনে আরো বাড়তে পারে। দেখা যাক কী হয়। এছাড়া নিউ মার্কেটের পাশে নূরজাহান প্লাজা, গ্লোব সুপার মার্কেট এবং ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটসহ আশপাশের সব মার্কেটেই ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। বাড়তি ক্রেতার আগমনে নিউমার্কেট এলাকায় যানযটের সৃষ্টি হয়েছে। ধীরে চলছে সব ধরনের গাড়ি।