আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিমান চলাচল প্রায় তিন গুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, এভিয়েশন সেক্টরে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় নাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সম্ভাবনাকে সফলভাবে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করে যাচ্ছি। গত ১০ বছরে দেশের বিমান চলাচলের বাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
আগামী ১৫ বছরে তা তিন গুণ বাড়বে। গতকাল রোববার সকালে ঢাকার প্যান-প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন প্রধানদের (ডিজিসিএ) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এরপর সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। ৩৮ বছর পর পাঁচ দিনব্যাপী ৫৮তম এই সম্মেলন শুরু হলো। চলবে আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এতে প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দেশের এভিয়েশন সেক্টর আন্তর্জাতিক অর্থে বিকশিত ও অগ্রসর হচ্ছে। উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের বিমান যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। সারা দেশে বিমান পরিকাঠামোর সময়োপযোগী সম্প্রসারণ, যাত্রীসেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলছে। মাহবুব আলী বলেন, প্রযুক্তিগত এবং জনসাধারণের দক্ষতা উন্নতকরণ, নিরাপদ ও মসৃণ এয়ার নেভিগেশন নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে দেশের সব বিমানবন্দরে যুগান্তকারী উন্নয়ন প্রকল্প, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
অন্যান্য উন্নয়নকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। বিমান প্রতিমন্ত্রী এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি আশা করি, এই ইভেন্টটি আমাদের ধারণা এবং সর্বোত্তম অনুশীলন বিনিময়ের সুযোগ দেবে এবং অনেক অসামান্য সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে আইকাও-এর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা ছাড়াও বিভিন্ন দেশের এভিয়েশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে এভিয়েশন সেফটি, এয়ারনেভিগ্রেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ারট্রান্সপোর্টগুলোর উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রায়োগিক দিকসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে। সম্মেলনে উত্থাপিত সুপারিশমালা পরবর্তী আইকাওয়ের সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।