বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৫৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় তাদের ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ১২ থেকে ১৫ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত ৩১৯টি অভিযানে এই দণ্ড দেওয়া হয়। এসব অভিযানে ৬৯৮ কেজি ইলিশ ও ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫০০ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা জালের বাজার মূল্য প্রায় ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। গতকাল রোববার দুপুরে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন এই নিশ্চিত করেছেন। মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী, এই তিনদিনে বরিশাল বিভাগে ৩০৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩১৯টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৪৩ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১২৩টি অভিযান, ঝালকাঠিতে ১৫ ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৭ অভিযান, পটুয়াখালী ১৪ ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪২ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে ১৪ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩১ অভিযান, বরগুনায় ৯ ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২৮ অভিযান, বরগুনায় ৯ ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৮ অভিযান ও ভোলায় ১৪ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫৮টি অভিযান পরিচালিত করেছে মৎস্য বিভাগ। এই অভিযানগুলো মৎস্য অবতরণকেন্দ্র, মাছঘাট, মাছের আড়ত ও বাজারে পরিচালিত হয়েছে। বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ। উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ সব নদীতে গুরুত্বের সঙ্গে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।