উচ্চ রক্তচাপ চোখের সমস্যা নিয়েই গাড়ি চালান অধিকাংশ চালক

দেশের অধিকাংশ চালক উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও চোখের সমস্যা নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, ২৪৯ জন চালকের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্তচাপ সমস্যা পাওয়া গেছে ৪৭ জনের। পাশাপাশি ব্লাড সুগার সমস্যা মিলেছে ৬৯ জনের ও ধুমপানজনিত সমস্যা পাওয়া গেছে ১০৯ জনের।

এছাড়াও ২৮৯ জন চালকের চক্ষু পরীক্ষায় চোখের ভিশন সমস্যা পাওয়া গেছে ১৬৪ জনের। সেই সঙ্গে ৮ জনের চোখের কন্ট্রাক্ট সমস্যা দেখা গেছে এবং চোখের অন্যান্য সমস্যা পাওয়া গেছে ৫৯ জনের। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিআরটিএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ২২ অক্টোবর, ২০২৩ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস। এ উপলক্ষ্যে জেলা ও উপজেলায় বিআরটিএ কর্তৃক নানা কর্মসূচি পালিত হবে। এসব কর্মসূচির আওতায় ইংরেজি পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ ছাড়াও সকাল ৯টায় রাজধানীর দোয়েল চত্বর থেকে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন পর্যন্ত শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। নিরাপদ সড়ক দিবসের বিস্তর কর্মসূচি জানিয়ে নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, দিবসটিকে ঘিরে জিরো পয়েন্ট থেকে শিক্ষা ভবন হয়ে হাইকোর্ট মোড় পর্যন্ত, মৎস্য ভবন মোড়, ফার্মগেট থেকে জাহাঙ্গীর গেইট হয়ে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, সার্ক ফোয়ারা, শেরাটন মোড়, বিজয় সরণী মোড় থেকে হেলিকপ্টার মোড়, তেজগাঁও ফ্লাইওভার থেকে সওজ ভবন পর্যন্ত সজ্জিতকরণ করা হবে।

এছাড়াও সাতরাস্তার মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল পর্যন্ত, হাইকোর্টস্থ কদম ফোয়ারা, মতিঝিলের শাপলা ও বলাকা চত্বর, মেট্রোরেলের দিয়াবাড়ী থেকে সংসদ ভবন পর্যন্ত মূল রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ এন্ট্রেন্সসমূহ, ফুটওভার ব্রিজ, সব স্টেশন, ইন্টারসেকশন, গোলচত্বর ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। সেই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাস টার্মিনালে জনসচেতনতামূলক লিফলেট, স্টিকার বিতরণ ও ব্যানার প্রদর্শন করা হবে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান জানান, নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিতকরণ করা হবে। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লিফলেট ও ফেস্টুন লাগানো হবে। এছাড়াও ঢাকা শহরে ৫০টি এবং প্রতিটি জেলার ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা বিষয় সম্পর্কে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন, সপ্তাহে দুই দিন করে আট দিন লিফলেট, স্টিকার বিতরণ ও মাইকিং করে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সচেতনতামূলক প্রচারণা, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাত্রী, পথচারী এবং সড়ক পরিবহণের মালিক-শ্রমিকদের সচেতন করা হবে।