দরজায় কড়া নাড়ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। চণ্ডীপাঠ, ঢাকের বোল, শঙ্খের শব্দ আর উলুধ্বনিতে আমন্ত্রিত হবেন দেবী দুর্গা। আগামীকাল শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দেবী দুর্গাকে বরণ করতে এরইমধ্যে সাড়া পড়েছে পাড়ায় পাড়ায়।
মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। পূজা উপলক্ষ্যে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জাতীয় মন্দির রাজধানীর ঢাকেশ্বরীতেও। গতকাল বুধবার সরেজমিন জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরীতে দেখা যায়, সেখা্েরন চলছে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি। একদিকে চলছে মঞ্চ, প্যান্ডেল আর তোরণের নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে বালু দিয়ে খানাখন্দগুলো ভরাটের পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় মণ্ডপের পাশেই রাখা হয়েছে নির্মাণসামগ্রী।
ঢাকেশ্বরীর প্রতিমা রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত পুরোহিত বরুণ জানান, এরইমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু রং করা বাকি আছে। রং করা শেষ হলে ষষ্ঠীর আগেই মন্দিরে নতুন প্রতিমা বসানো হবে। পূজার আয়োজনের পাশাপাশি মন্দির এলাকায় দেখা গেছে, আয়োজকদের ব্যস্ততাও। প্রতিবছর ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে প্যান্ডেল লাগানো, চেয়ার সরবরাহ এবং মঞ্চের কাজ করে আরজু ডেকোরেটর। এবারো এসব কাজের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানটির।
আরজু ডেকোরেটরের স্বত্বাধিকারি জীবন চৌধুরী জানান, দুই সপ্তাহ আগে থেকেই তারা কার্যক্রম শুরু করেছেন। আগামীকালের মধ্যেই মঞ্চ, প্যান্ডেল আর তোরণের নির্মাণকাজ শেষ হবে। মাঠে বাঁশের বেড়া দেওয়া ও চেয়ার বসানোর কাজসহ অন্যান্য কাজও পূজা শুরুর আগেই শেষ করতে পারবেন বলে জানান তিনি। মন্দিরের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পরিচালনা কমিটির সভাপতি চিত্ত রঞ্জন মজুমদার বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষের দিকে। ষষ্ঠী বোধনের আগেই প্রস্তুতি শেষ হয়ে যাবে।
তিনি আরো জানান, গত দুই বছর ধরে পূজা মণ্ডপে স্পনসর করছে ইস্পাহানি মির্জাপুর। এ বছর স্পনসর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মন্দির প্রাঙ্গণে স্পনসর প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি দোকান এবং আগে থেকে থাকা ছয়টি দোকান থাকবে। পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ এবং ষষ্ঠিবিহিত পূজা, পরদিন শনিবার মহাসপ্তমীবিহিত পূজা, রোববার মহাষ্টমীবিহিত পূজা, সোমবার মহানবমীবিহিত পূজা এবং মঙ্গলবার দশমীবিহিত পূজা সমাপন ও প্রতিমা বিসর্জন হবে।