এখনও প্রকৃতিতে শীতের উপস্থিতি পুরোপুরি জানান দেয়নি। তবে হাঁটে-বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এগুলো শীতের আগাম সবজি। দাম ভালো পাওয়ায় আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। যদি এই চাষিকে গুণতে হয় সার, কীটনাশক, শ্রমিক খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা। সব খরচ বাদ দিয়ে আগাম সবজি বিক্রি করে ভালো লাভের কথাই বলছেন চাষিরা।
পৌষ, মাঘ শীত হলেও আশ্বিন থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতের সবজি। অসময়ে শীতের সবজি কেনা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগ্রহ আছে, আবার নাইও বলা চলে। বেশি দাম হলেও নতুন সবজি হিসেবে কিছুসংখ্যক ক্রেতার আগ্রহ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্রেতার তেমন আগ্রহ না থাকার কারণে হিসেবে জানা গেছে বেশি দাম ও স্বাদে কমতি থাকার কথা। তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের যোগ বিয়োগের মধ্যে সবজি চাষিরা বলছেন, প্রত্যেক ফসলে মৌসুম রয়েছে। মৌসুম অনুযায়ী চাষ করলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকে। তাই খরচ কম হয়। ফলনও ভালো পাওয়া যায়। আগাম সবজি চাষে খরচ বেশি হয়। ফলন মোটামুটি হলেও দামে পুষিয়ে যায় চাষিদের। শীতের সবজির মধ্যে রয়েছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মটরশুঁটি, ব্রকলি, শালগম, মূলা, টমেটো, পালংশাক, পেঁয়াজকলি। এসব সবজি যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর পুষ্টিও বেশি। তবে শীত না এলেও বাজারে এসেছে শীতের সবজি। বর্তমানে বাজারে মিলছে, ফুলকপি, শিম, পালংশাক, টমেটো, মূলা। শীতের আগাম সবজি হওয়ায় বাজারে এগুলো দাম তুলনামূলক বেশি। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর বেশি জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এ বছরের (২০২৩-২৪) চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছে ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এমন ২০২২-২৩ মৌসুমে শীতের সবজির মধ্যে শিম চাষ হয়েছে ২৩০ হেক্টর, পালংশাক ৪৪ হেক্টর, টমেটো ৩১ হেক্টর, ফুলকপি ২৭৫ হেক্টর, মূলা ৩২৮ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ফুলকপি চাষ হয়েছে ৩৮৭ হেক্টর, টমেটো চাষ হয়েছে ৬৪ হেক্টর, মূলা ৪৩৫ হেক্টর, শিম ২৪১ হেক্টর, পালংশাক ৬৬ হেক্টর ও ধনিয়াপাড়া ৩৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।