ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৬৪ জেলায় পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি ঘোষণা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান ডেঙ্গুর প্রকোপ কমাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ৬৪ জেলায় সপ্তাহব্যাপী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পরিচালনা করবে সরকার। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের কার্যক্রম চলছে। কিন্তু মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাবে এই কার্যক্রমে বড় প্রভাব ফেলছে। বাসাবাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার কথা আমরা বারবার বলে এসেছি। কিন্তু যেভাবে হওয়ার কথা তা হচ্ছে না। ২০১৯ সালে ডেঙ্গু সংক্রমণ যখন সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়, তখনো অপরিকল্পিত নগরায়ন ভুগিয়েছে, এখনো আছে। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তাজুল ইসলাম বলেন, বছরের শুরুতে মেয়রদের নিয়ে বসেছি। প্রত্যেক মাসে আমরা সভা করছি। কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই উপায় আমরা বের করার চেষ্টা করছি, আমরা থেমে নেই। বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা ভালো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের অবস্থার অবনতি হয়েছে, এটা স্বীকার করতেই হবে। কাজেই এটি প্রতিরোধই এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা স্কাউটস, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও কাউন্সিলদের সঙ্গে বসেছি। এটি প্রতিরোধে অবশ্যই আমাদের বছরব্যাপী কার্যক্রম থাকতে হবে। এজন্য প্রত্যেকটি বাড়ির ছাদে গিয়ে গিয়ে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, কোথায় কোথায় পানি জমে থাকছে। ২ মাসে ড্রোনের মাধ্যমে কোনো কোনো বাসায় পানি জমে আছে সেগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে। আমরা আমাদের কাজ করছি, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা, সামাজিক বিপ্লব ছাড়া এ অবস্থা থেকে উত্তরণ কঠিন। সিটি করপোরেশনের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, আমরা ৯ লাখ ৯৬ হাজার বাসা পরিদর্শন করেছি। এটি অব্যাহত রাখতে হবে, জরিমানা চলমান থাকবে। এ জন্য মশক অভিযান চালাতে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট দরকার। এ বছর ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা সরকারের তহবিলে জমা হয়। আমরা বারবার সচেতনতার কথা বলে আসছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কাজেই এটি ছাড়া উপায় নেই। বিটিআই জালিয়াতির বিষয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, এই কীটনাশক পরিবেশবান্ধব। শুরুতে মাত্র পাঁচ টন আনার চেষ্টা করেছি। যে ঠিকাদার নিয়ে আসে সেখানে সিঙ্গাপুর লেখা ছিল। এতে করে সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। সেই টিকাদার ভবিষ্যতে যাতে কোনোভাবে আর কাজ না পায়, সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে বিটিআই আমরা আনব। এবার ঠিকাদার নয়, নিজেরাই আনব। এরই মধ্যে তৈরিকৃত কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে।

একই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. একদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের ধারণা ছিল ডেঙ্গু নির্দিষ্ট একটা সময়ে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বছরের পুরো সময়জুড়েই প্রকোপ। গত ৮ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আমরা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের তথ্য নিয়েছি। যেখানে আমরা দেখেছি ৭৬ ভাগ রোগী ঢাকার বাইরে থেকে আসা। এজন্য আমরা বছরব্যাপী কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।