বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিজিবি মহাপরিচালক গত বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সেক্টরের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’ এর চূড়ান্তপর্বে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ শেষে একথা বলেন। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী ও চৌকস সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
এ বাহিনী দেশের প্রথম সারির প্রতিরক্ষা নিশ্চিতকল্পে সার্বক্ষণিক সীমান্তে নিয়োজিত রয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষা এবং যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুকে ধ্বংসের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য বিজিবি’র প্রতিটি সৈনিককে অস্ত্র চালনায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই দক্ষতা অর্জনের মূলমন্ত্র হচ্ছে-‘এক বুলেট, এক শত্রু’। তাই বিজিবিতে আয়োজিত সব প্রতিযোগিতার মধ্যে ফায়ারিং প্রতিযোগিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, যে কোনো প্রতিযোগিতায় জয়-পরাজয় থাকবে-এটাই স্বাভাবিক। তবে জয়-পরাজয়ের চেয়ে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে অংশগ্রহণ করাটাই বড় কথা। বিজিবি মহাপরিচালক ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব বিজিবি সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সব স্তরের সৈনিকদের ফায়ারিংয়ের মানোন্নয়ন তথা পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিজিবির কুমিল্লা সেক্টরের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি মহাপরিচালক আজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উপভোগ করেন এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিজিবি’র সরাইল রিজিয়নের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুমিল্লা সেক্টরের ব্যবস্থাপনায় গত ১৭ অক্টোবর বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় বিজিবি’র পাঁচটি রিজিয়ন ও ০১টি স্বতন্ত্র সেক্টর থেকে আগত মোট ০৬টি দলের সর্বমোট ৭২ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় সরাইল রিজিয়ন চ্যাম্পিয়ন এবং কক্সবাজার রিজিয়ন রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এছাড়া ফায়ারিংয়ে ব্যক্তিগত নৈপূণ্য প্রদর্শন করে কক্সবাজার রিজিয়নের বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন (৩৮ বিজিবি) এর সিপাহী মুন্নাফ হাসান প্রথম শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং সরাইল রিজিয়নের সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ল্যান্স নায়েক স্বাধীন কুমার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হয়।