নিরাপদ সড়কে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ১০ দফা সুপারিশ
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি বলছে, এই খাতে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা। নানা অজুহাতে সড়ক পরিবহণ আইন বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না। গতকাল শনিবার ধানমন্ডিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দেশের গণপরিবহণ ও সড়ক নিরাপত্তা পর্যালোচনা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। দীর্ঘদিনের অপরাজনীতির মধ্য দিয়ে পরিবহণ খাতে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, সমস্যাটি রাজনৈতিক। যখন যে দল ক্ষমতাসীন হয় তখন সেই দলের লোকজন সড়ক পরিবহণ খাত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এআই মাহবুন উদ্দিন আহমেদ বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিত পদ্ধতিতে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করবে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জীবনমুখি সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগই যথেষ্ট মাত্রায় বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে সড়ক ব্যবহারকারী সাধারণ জনগণ যেমন সচেতন হচ্ছে না, তেমনি সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। এআই মাহবুন উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজধানীর যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অনেকগুলো ফ্লাইওভার, ওভারপাস, ইউলুপ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও রাজধানীর যানজট কমছে না বরং বাড়ছে। কারণ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট মাত্রায় স্টাডি করা হয়নি। রাজধানীর যানজট কমানো এবং যাতায়াতের সুবিধার জন্য সরকার মেট্রোরেল নির্মাণ করে আংশিক চালু করেছে। দুটি সাবওয়ে নির্মাণ শুরু হচ্ছে। সুপারিশগুলো হলো: দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে, বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য সার্ভিস রোড তৈরি করতে হবে, পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে, গণপরিবহণে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে, রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে, টেকসই পরিবহণ কৌশল প্রণয়ন করতে হবে, সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, মো. রাশেদ খান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. জিল্লুর রহমান, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. তৌফিকুজ্জামান, রিসার্চ অ্যান্ড ডিজিটাল ইন্টারভেনশন এক্সপার্ট আমিনুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ৯