প্রেস রিলিজ

নতুন ১৮ ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করা হবে

বললেন মেয়র তাপস

প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ঢাদসিক) অধিভুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে পরিকল্পিতভাবে খেলার মাঠ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার দুপুরে ডেমরা এলাকায় মেন্দিপুর খেলার মাঠ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র এ পরিকল্পনার কথা জানান। মেয়র বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতেহারেই আমি বলেছিলাম, ছোট হোক বা বড় হোক, প্রতিটি ওয়ার্ডেই ন্যূনতম একটি করে খেলার মাঠ/উদ্যান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনেক জায়গা দখলমুক্ত করে ১০টি ওয়ার্ডে নতুন করে খেলার মাঠ সৃষ্টি করেছি। আমরা যে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি সেটি এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত ছিল।

নতুন যে ১৮টি ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৭০ নম্বরে ওয়ার্ড তারই একটি। নতুন এই ১৮টি ওয়ার্ডে পরিকল্পিতভাবে খেলার মাঠ সৃষ্টি করা হবে।’ এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘দখলদারদের তালিকা করে তেমন সুফল পাওয়া যায় না। নতুন নতুন দখলদার সৃষ্টি হয়। আমরা খালগুলো পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম দফাতেই একটা বড় অংশ দখলমুক্ত করি। কিন্তু দেখা যায় যে, ভূমিদস্যরা কিন্তু থেমে থাকে না। তারা কিন্তু সুযোগের সন্ধানে থাকে। আবার দখল করার চেষ্টা করে। সেজন্য খাল উদ্ধারে আমরা দীর্ঘস্থায়ীভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় আগাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের চারটি খাল (শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল) নিয়ে যে প্রকল্প দিয়েছেন আমরা তা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি।’ সোকওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক নিয়ে করা সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, এটা অত্যন্ত দুরুহ। কারণ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে যেটা অপরিকল্পিতভাবে হয়ে আসছে সেটা খুব দ্রুত যে সম্পন্ন হবে তা আশা করা যায় না। একদিকে যে নতুন বাসা-বাড়ি, স্থাপনা হচ্ছে তারা যেন নিজস্ব সোকওয়েল ও সেফটিক ট্যাংক স্থাপন করেন সেজন্য আমরা তাদেরকে অনুপ্রাণিত করছি। যাতে করে তারা নিজেদের সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল করে সেজন্য অনেক ক্ষেত্রে কঠোরও হচ্ছি। কারণ, আপনারা জানেন যে পয়ঃপ্রণালী বা পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো ওয়াসার কাছে।

তারা কিন্তু এখন পর্যন্ত পয়ঃপ্রণালী নর্দমা তৈরি করতে পারেনি এবং আদৌ কবে নাগাদ তৈরি করতে পারবে সেটার কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা নেই। আমাদের যে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা রয়েছে সেটার পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক বাসা-বাড়ি, স্থাপনায় নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক এবং সোকওয়েল থাকলে সেখান থেকে যে পানি আসবে সেটা পয়ঃবর্জ্য হবে না। পরিষ্কার পানি বের হবে। অপরিকল্পিতভাবে হুটহাট চমক দেখালে খাল-নদীকে পয়ঃপ্রণালীর দূষণ হতে রক্ষা করা যাবে না উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমরা যে খালগুলো নিয়ে কাজ করছি সেখানেও অনেক পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ রয়েছে। জিরানী, মান্ডা, কালুনগর ও শ্যামপুর খালে যে পয়ঃপ্রণালী সংযোগ রয়েছে সেগুলোকে আমরা অন্য দিকে ধাবিত করব। খালের পাশ দিয়ে পিট করে দিব। সেই পিট দিয়ে এগুলো মূল প্রণালি সংযোগে চলে যাবে। খালে যেন এই পানিটা নিষ্কাশন না হয়। পর্যায়ক্রমে আমরা এই কাজটি করব। এখনই তাৎক্ষণিকভাবে হয়তো আমরা অল্প সময়ের জন্য এই সুফল দিতে পারছি না। কিন্তু এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হলে ইনশাআল্লাহ পয়ঃপ্রণালী পানিটা আর খালে আসবে না। নদীতেও যাবে না।

নদীর পানি যেভাবে দূষিত হচ্ছে সেটা থেকেও পর্যায়ক্রমে আমরা ধাপে ধাপে মুক্ত হবো। আমরা মনে করি যে, পরিকল্পিত আকারে আগালে সমাধান পাব। অপরিকল্পিতভাবে হুটহাট চমক দেখালে খাল-নদীকে পয়ঃপ্রণালীর দূষণ হতে রক্ষা করা যাবে না। আমরাও সমাধান পাবো না। এর আগে মেয়র তাপস নীলক্ষেত ওয়াসা গলিতে মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন এবং ইত্তেফাক ভবন নিকটবর্তী, টিকাটুলি বাস স্টপেজ ও হাটখোলা মন্দিরের বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত সংবাদপত্র বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সংরক্ষিত আসনের সেলিনা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।