বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সের তিনটি গাছ বিক্রির পর কেটে ফেলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার নগরীর শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থিত টেনিস কমপ্লেক্সের ভেতরের এসব গাছ কাটা হয়। সরেজমিন রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, কমপ্লেক্সের ভেতরে টেনিস কোটের পাশের তিনটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। গাছ কাটার পর ছোট ছোট টুকরো করছেন শ্রমিকরা। নাম প্রকাশ না করে টেনিস কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী বলেন, এই গাছগুলো ছায়া দিত। খেলা শেষে অনেকেই এখানে দাঁড়াতো। তবে এগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এসব গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে কী হবে? টাকা তো আসবেই কিন্তু এসব গাছ তো আর পাওয়া যাবে না। টেনিস কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হোদা দুলু বলেন, আমাদের এখানে যে খেলার কোট আছে সেটিতে পাতা পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এটি রং করা হচ্ছে। এখানে কয়েক দিন পরে একটি টুর্নামেন্ট আছে। এজন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। তিনটি গাছ ২২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বন বিভাগের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমতির বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে আমি তাদের সঙ্গে কথা বলে নিচ্ছি। আর আমাদের এখানে কোনো টেন্ডার সিস্টেম নেই। সুতরাং, এগুলো মিটিং করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ বলেন, কোনো গাছ কাটতে হলে তার যথাযথ কারণ লিখে আমাদের বরাবর অবেদন করে অনুমতি নিয়েই কাটতে হবে। তবে রাজশাহীর অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেয়নি। আপনাদের কাছ থেকেই গাছকাটার কথা জানতে পারলাম। বিষয়টি আমরা দেখছি।