নারায়ণগঞ্জে চালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে বস্তাপ্রতি ১০০ টাকা থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে, যা কেজিপ্রতি দাঁড়ায় দুই থেকে তিন টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শেষ সময় হওয়ার কারণে ধানের সংকট রয়েছে। ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। যে কারণে ধীরে ধীরে চালের দামও বাড়তে শুরু করছে। নতুন ধান আসলে হয়তো চালের দাম আবার কমে যাবে। নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রধান পাইকারি বাজার হচ্ছে নিতাইগঞ্জ। এখানকার চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জনা যায়, মোকাম থেকে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। যারা খুচরা বিক্রেতা তাদের আসলে এখানে কিছু করার থাকে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন মোকামের লোকজন। তারা যেভাবে বিক্রি করে থাকেন এখানকার ব্যবসায়ীদেরও সেভাবেই বিক্রি করতে হয়। চাল ব্যবসায়ী আনিসুল হক বলেন, লতা চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট চালের দাম আগের মতোই আছে। নাজিরশাইল চালের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। আমরা যতটুকু জানি, সিজনের শেষ পর্যায় হওয়ার কারণে ধানের সংকট রয়েছে। আবার নতুন ধান বাজারে আসলে দাম কমবে। তিনি আরো বলেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বেচাকেনাও অনেকটা কমেছে। কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিয়মিত মনিটরিং হয়। কিন্তু মোকামওয়ালাদের কোনো মনিটরিং নেই। তাদের ওখানে মনিটরিং থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকত। মেসার্স হক ট্রেডার্সের মালিক আক্তারুজ্জামান রতন মাদবর বলেন, গত আটদিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। লতা আর স্বর্ণা চালের দামটাই বেশি বেড়েছে। মিনিকেট চাল তেমন বাড়েনি। কেজিপ্রতি দুই থেকে থেকে আড়াই টাকা বেড়েছে। চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে। মোকামের লোকজন এই দামটা বাড়িয়ে দিয়েছে। তারাই সবকিছু করে। আরেক চাল ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, মোটা চালটা প্রতি বস্তায় ১৫০ টাকা করে বাড়ছে। মিনিকেট ১০০ টাকা বাড়ছে। নাজিরশাইল আগের দামেই আছে। লতা ও আটাইশ প্রতিবস্তা ২ হাজার ৩২০ টাকা থেকে ২ হাজার ৪২০ টাকা ছিল। যেটা ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৪৫০ টাকা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে চাল আনা হয় তারা বলছে ধানের দাম বেশি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এখানে চালগুলো দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে। তবে আমাদের বেচাকেনা আগের থেকে কমে গেছে।