ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশজুড়ে সংঘাতে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

দেশজুড়ে সংঘাতে মানবাধিকার কমিশনের উদ্বেগ

গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। দেশজুড়ে ব্যাপক সংঘাতে নির্বিচারে পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী ও জনসাধারণকে আক্রমণের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন মর্মে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলগুলো সভা সমাবেশ করবে, একে অপরকে বিভিন্ন ইস্যুতে গঠনমূলক সমালোচনা করবে এটাই প্রত্যাশিত। তবে সভা-সমাবেশের নামে জনগণের জান-মালের ওপর আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা চরম নিন্দনীয় যার নিন্দা ও সমালোচনা প্রকাশের কোনো ভাষা নেই। বিশেষত, ফকিরাপুলে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুর্বৃত্তরা একজন পুলিশ সদস্যকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এছাড়াও গত শনিবার এবং গতকাল বিভিন্ন গণপরিবহণ, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হতাহতের সংবাদ, জনসাধারণকে নির্বিচারে আক্রমণ, পুলিশ ও গণমাধ্যম কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর বিবিধ তথ্য কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ অবস্থায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সৃষ্ট সহিংস রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চার বদলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে অবিলম্বে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার আহ্বান জানায়। জনসাধারণের অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতামুক্ত চলাফেরার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত-পূর্বক যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো প্রকার নৈরাজ্য সৃষ্টি হলে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হয় জনগণ। সব রাজনৈতিক দলকে জনমুখী, সহনশীল এবং সংঘাতমুক্ত রাজনৈতিক চর্চার আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত