ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির এবং প্রগতিশীল ইসলামী জোটের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য লায়ন এমএ আউয়াল বলেন, সরকার পরিবর্তন এবং সরকারে আসতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তিনি আরো বলেন, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গতকাল সোমবার রাবধানীর সেগুন বাগিচায় শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘সংঘাত সংঘর্ষ নয়, সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএ আউয়াল এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। গত ২৮ তারিখ আমার জ্বালাও পোড়াও যে চিত্র দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে, তারা আরো হিংস্র হতে পারে। কিন্তু তাদের সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণ অবশ্যই রুখে দাঁড়াবে। গোলটেবিল বৈঠকে উল্লেখিত বিষয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, প্রধান আলোচক ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব এবং প্রগতিশীল ইসলামী জোটের সমন্বয়ক সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম খান। তিনি মূল প্রবন্ধে বলেন, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতিগ্রস্ত করার অধিকার রাজনীতিকদের নেই। যেভাবে পুলিশ হত্যা করা হলো তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। নেজামে ইসলাম বাংলাদেশে-এর চেয়ারম্যান মুফতি আহসানউল্লাহ সালামীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ জনমত পার্টির আহ্বায়ক সুলতান জিসানউদ্দিন প্রধান, জনতার কথা বলে’র চেয়ারম্যান নাঈম হাসান, গণআজাদী লীগের ভারপ্রাপ্ত চেয়রাম্যান মুহাম্মদ আতাউল্লাহ খান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- ভাসানী সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আবু আহাদ আল মামুন (দ্বীপু মীর) প্রমুখ।