ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলে গাঁজাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছেন ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টায় হলের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে গাঁজাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়ে ওই ছাত্র। পরে উত্তমমধ্যম দিয়ে তাকে হলছাড়া করেন শিক্ষার্থীরা।
সূর্যসেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হলে অবস্থান করা ওই যুবক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী। সে হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ অর্পনের ৩৫৪ নম্বর কক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই অবস্থান করছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় হল গেইটে রিকশা ভাড়া না দিয়ে ওই শিক্ষার্থী হলে ঢুকার সময় সাধারণ শিক্ষার্থীর হাতে ধরা পড়ে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে ছাত্রদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মাহমুদ অর্পনের রুমে থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমকে ডাকা হলে তারা ঘটনাস্থলে আসে। ওই সময় প্রক্টরিয়াল টিম বহিরাগত ওই শিক্ষার্থীকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে মাহমুদ অর্পন তাকে হল থেকে বের করে দেওয়ার কথা বলে প্রক্টরিয়াল টিমের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেন। পরবর্তীতে ওই শিক্ষার্থীকে রুমে নিয়ে যাওয়া হলে তার কাছে ১০০ গ্রামের এক প্যাকেট গাঁজা পাওয়া যায়। একপর্যায়ে অর্পনের জন্য গাঁজা আনার কথা স্বীকার করে সে। পরে কক্ষে থাকা ব্যাগ-ট্রাংকসহ তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ অর্পনেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত রয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অনেক রিকশাচালক রিকশা ভাড়া না দিয়ে চলে চাওয়া নিয়ে অভিযোগ করে আসছিলেন। এরপর আজ শিক্ষার্থীরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে জানা যায়, সে ঢাকা কলেজে পড়ে। এখানে সে তার কোনো এক ভাইয়ের রুমে থাকে। সে বহিরাগত হওয়ায় প্রক্টরিয়াল টিম তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যেতে চেয়েছিল।
তবে হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে হল থেকে বের করে দেবে বলে ছড়িয়ে নেয়। এ ঘটনার অনেক পরে গাঁজা থাকার খবর পাই। আগামীকাল (সোমবার) হল পরিদর্শন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। তবে সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।