বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবরোধ শেষে গতকাল আবার পুরোনো চেহারায় ফিরেছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। কর্মীদের হাঁকডাক ও যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো প্রাঙ্গণ। গতকাল গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে গাবতলী এলাকা। কাউন্টারের লোকরা ডাকছেন যাত্রীদের। ভোর থেকেই ছেড়ে যাচ্ছে দূরপাল্লার বাস। টানা তিন দিনের অবরোধে স্তিমিত হয়ে পড়েছিল গাবতলী এলাকা। দূরপাল্লার বাস না ছাড়ায় যাত্রীরাও পড়েছিলেন বিপাকে। গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় শেখ নাসের নামে এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি কমফোর্ট লাইন বাসে পিরোজপুর। শেখ নাসের বলেন, বাড়িতে যাওয়ার দরকার ছিল অবরোধের আগেই। কিন্তু মাঝখানে অবরোধ পড়ে যাওয়ায় আর যেতে পারিনি। তাই আজ যাচ্ছি। সোহাগ পরিবহণে মাগুরা যাবেন শাহাদাত হোসেইন। তিনি বলেন, দুই দিন ধরেই বাড়িতে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। গতকাল এসেও বাস পাইনি। অবরোধ কাটতেই আজ এলাম। টিকিট কেটেছি, আশা করছি ভালোভাবে পৌঁছাব। অবরোধ শেষ হতেই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বাস সংশ্লিষ্টরা। গোল্ডেন লাইন পরিবহণের ম্যানেজার সাদ্দাম বলেন, তিন দিন তো কোনো ট্রিপই ছিল না। অনেক যাত্রী চাইলেও যেতে পারেনি। তাই আজ সবাই যাত্রা করছেন। রয়েল এক্সপ্রেসের কর্মী মিন্টু বলেন, অবরোধের কারণে ট্রিপ বন্ধ ছিল। গতকাল অবরোধ শেষে ট্রিপ আবার শুরু হয়েছে। যাত্রীও অনেক আসছেন। এদিকে গাবতলী এলাকাজুড়ে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কর্মরত এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, অবরোধ কাটলেও কিন্তু নাশকতার একটা শঙ্কা থেকে যায়। তাই আমরা লক্ষ্য রাখছি যেন সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে।