ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং মক্কা চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। গত বুধবার মক্কা চেম্বারের কার্যালয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা ও বিটুটি সেশনে ওই চুক্তি সই হয়েছে। ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এবং মক্কা চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার ইশমাট মাটোগ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বাধীন ৬১ সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ উক্ত বাণিজ্য আলোচনা ও বিটুবি সেশনসমূহে যোগদান করেন।
ডিসিসিআই’র প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে মক্কা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল্লাহ গাদি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্কের বেশ উন্নতি হয়েছে, যেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অনুকরণীয় ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করা যায়, এটাতে আরো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বেশ সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, মক্কা শহরে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন ও সংস্কারের লক্ষ্যে সৌদি সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে, যেখানে তার দেশের সরকারের নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। অনুষ্ঠানের বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় অর্থনীতি ও নীতি সহায়তামূলক বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করছে, যার সুযোগ নিয়ে সৌদি আরবের উদ্যোক্তারা একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দুটি দেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার সমন্বয় আরো জোরদার করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনার পাশাপাশি প্রতিযোগী মূল্যে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির সুযোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে আরো বেশি হারে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদ এবং প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।