উড়াল সেতুর নিচে সৌন্দর্য বাড়ানো হবে : তাপস

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ভবিষ্যতে যেন আর কেউ দখল করতে না পারে সেভাবেই পর্যায়ক্রমে মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার দুপুরে সায়দাবাদ হতে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিচের অংশে গৃহীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। তাপস বলেন, মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিচের জায়গাগুলো বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় পড়ে আছে। ১১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই উড়াল সেতুর নিচের পুরো অংশকে আমরা ৮ ভাগে ভাগ করেছি। এই অংশগুলোর সৌন্দর্যবর্ধনে আমরা পরামর্শক নিয়োগ করেছি। কোনো অংশে কি চাহিদা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট কি হতে পারে, কোথায় পথচারী পারাপার দরকার, কীভাবে ল্যান্ডস্কেপিং করা হলে সৌন্দর্যবর্ধন হবে, সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে এবং ভবিষ্যতে যাতে আবার এখানে কেউ দখল করতে না পারে, সেভাবেই আমরা মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর নিচের অংশে পর্যায়ক্রমে সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করব। এরইমধ্যে ৪ ভাগের পরিকল্পনা শেষ হয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র শেখ তাপস বলেন, আটটি ভাগে ভাগ করে পর্যায়ক্রমে আমরা প্রত্যেকটির আলাদাভাবে নকশা করেছি। এরইমধ্যে চানখারপুল থেকে চারটি অংশের নকশা প্রায় শেষ। আমরা দরপত্রে যাব। আজকে আমরা বাকি চারটি অংশ পরিদর্শনে এসেছি। এটা শেষ করে আমরা এই অংশগুলোরও নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ করব। এভাবে আমরা পর্যায়ক্রমে একেকটি অংশের সৌন্দর্যবর্ধন সম্পন্ন ও কার্যকর করব। জনগণের চাহিদা ও পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনা করেই সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনই তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে উল্লেখ করেন মেয়র তাপস। এছাড়া ল্যান্ডস্কেপিং এ মৌসুমি ফুল গাছের প্রাধান্য থাকবে বলেও তিনি জানান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ শেষ হলে ডিএসসিসি মেয়র পুরানা মোগলটুলি উচ্চবিদ্যালয়ের চলমান ভবন নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মুনিরুজ্জামান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, কাউন্সিলরদের মধ্যে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবুল কালাম, ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের মাসুদ মোল্লা, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু সাঈদ এবং সংরক্ষিত আসনের নাজমা বেগম ও ফারহানা ইয়াছমিন কুয়াশা প্রমুখ।