অবরোধে সিলেটে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সিলেটের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দুই দলের চলমান কর্মসূচির কোনো প্রভাব পড়েনি নগরে। যান ও জনচলাচল সকাল থেকে স্বাভাবিক রয়েছে।
কেননা, অবরোধ ডেকেও মাঠে নামেননি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন শুরু হয় সিলেটে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে। ভোর থেকে সকাল হতেই যান চলাচলও বেড়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে যানজট। চলমান অবরোধে শিথিলতা দেখা গেলেও শঙ্কা যে নেই, তা নয়। নগরবাসীর মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে, যেকোনো সময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা মাঠে নাম পারে। তারপরও জীবিকার তাগিদে অবরোধকে পেছনে ফেলে মানুষ বেরিয়েছে কর্মস্থলে যেতে, কর্মের সন্ধানে। সড়কে মহাসড়কে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে।
নগরজুড়ে সিএনজি অটোরিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। সিলেটের শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, সড়কগুলোয় যানবাহন চলাচল আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো সিলেটে আসছে। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকেও যথারীতি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। অবরোধকারীদের বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো ধরনের তৎপরতা ঠেকাতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। সরেজমিন গিয়ে, নগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরবাজার, সুরমা মার্কেট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার পয়েন্ট, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, মদিনা মার্কেট, টিলাগড়, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকায় যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। খোলা রয়েছে অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ও নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। গত বুধবার যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনও সিলেটে মাঠে নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। নিয়ম পালনের জন্য এ দুদিন রাতেই কেবল মশাল মিছিল করেছে তারা। গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিরতি দিয়ে চলে আসা হরতাল-অবরোধে সিলেটে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পুলিশ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার থানাগুলোয় এক ডজন মামলা হয়েছে। এসব মামলার আসামি দুই দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার হয়েছেন অর্ধশত। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক বহু নেতাকর্মী। সিলেট মহানগর পুলিশ বলেছে, অবরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে সদস্যরা। কোথাও কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা গেলে তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেওয়া হবে।