অবরোধে রংপুরে পরিবহণ মালিকদের দিনে ক্ষতি ১০ লাখ টাকা

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

উত্তরের বিভাগীয় নগরী রংপুর থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০০ বাস চলাচল করে। কিংন্তু বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচির কারণে এখন মহাসড়কে বাস চলাচল একেবারই কম।

দূরপাল্লার বাস না চললেও মাঝেমধ্যে সড়কে দেখা মিলছে আন্তঃজেলা রুটের কয়েকটি বাস। সেসব বাসে নেই আগের মতো যাত্রীর চাপ। সরকার বিরোধী জোটের টানা তিন দফায় চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে গত বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর নগরীর বাস টার্মিনালসহ পার্কিং পয়েন্ট ও মহাসড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবমিলিয়ে সরকার বিরোধীদের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে বাসে আগুন লাগার ঘটনায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক-ভীতি। যাত্রীরা দুর্ভোগ সহ্য করে ছোট ছোট বাহনে গন্তব্যে পৌঁছলেও সড়কে নামতে না পারায় ক্ষতির অংক বড় হচ্ছে পরিবহন মালিক-শ্রমকিদের। পরিবহন মালিকদের দাবি, হরতার-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে রংপুরে দিনে ১০ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যদি একের পর এক এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকে তাহলে ক্ষতির পরিমাণে পথে বসতে হবে মালিকদের। এদিকে গত মঙ্গলবার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে সভা করে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন যাতে নিরাপদে সড়কে চলাচল করতে পারে, সেজন্য সবধরনের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)। কিন্তু এরপরও বুধবার আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে জরুরি সেবার আওতায় থাকা পরিবহনগুলোর পাশাপাশি পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ চলাচল করছে। সড়কে বেড়েছে রিকশা, অটোরিকশা, থ্রি-হুইলার, মোটরসাইকেলের মতো হালকা যানবাহনের চাপ। গত বুধবার রংপুরের দমদমা সেতু পার হয়ে দেখা যায় অচেনারূপে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক। বিরোধী দলের ডাকা তৃতীয়বারের সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনেও ফাঁকা এই ব্যস্তময় মহাসড়ক।

আঞ্চলিক গণপরিবহন হাতেগোনা কয়েকটি চলাচল করলেও দূরপাল্লার বাস নেই বললেও চলে। এদিকে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় সিটি বাস টার্মিনাল, কুড়িগ্রাম বাস টার্মিনালসহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে চোখে পড়ে যাত্রী সংকটে পরিবহন শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে।

এদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পরিহার করে সরকার বিরোধী দলগুলোকে জনবান্ধন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। বাসচালক মোকলেছুর রহমান বলেন, বাস মালিকরা তো বলে বাস বের করতে হবে। কিন্তু রাস্তায় বের হলে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তো আমাদের দেখার মানুষ থাকবে না। বাস মালিক তো নতুন আরেকটা বাস পাবে, কিন্তু আমাদের কি হবে? তাই দুইদল এক হয়ে মানুষের সেবা করুক। আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। আমরা আমাদের গাড়ি নিয়ে যাতে চলতে পারি, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।