উত্তরের অক্সফোর্ডখ্যাত বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ও কেককাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড, মো. আমজাদ হোসেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রোজাইন মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। রংপুরের জীবন্ত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষর কারমাইকেল কলেজ। অবিভক্ত বাংলার যে কয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছিল তাদের মধ্যে কারমাইকেল কলেজের স্থান প্রথম সারিতে। ১৯১৬ সালে ১০ নভেম্বর স্থাপিত এই কলেজের রয়েছে সমৃদ্ধ গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। স্থাপিত হওয়ার সময় থেকেই এই কলেজ রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক অবদান রেখে আসছে। এই কলেজ জন্ম দিয়েছে অনেক জ্ঞানী গুণী ব্যক্তির যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেখেছেন উজ্জ্বল ভূমিকা। এই কলেজ থেকে শিক্ষালাভ করে বহু ছাত্র পরে বিখ্যাত চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রশাসক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ রূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। এই কলেজের ছাত্রী ছিলেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, প্রাক্তন দুই ছাত্র আবু সাদাত মো. সায়েম, হুসেন মো. এরশাদ পরবর্তীতে হয়েছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, মেজর জেনারেল মুস্তাফিজার রহমান সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেক ভালো ভালো শিক্ষক এ কলেজে শিক্ষাদান করতেন। কারমাইকেলের সুখ্যাতি বিস্তৃত হয়েছে বাংলার সীমানা পেরিয়ে আসাম, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ পর্যন্ত। কলেজে মেয়েদের তিনটি ছেলেদের চারটি হোস্টেল থাকায় বৃহত্তর দিনাজপুর ও বৃহত্তর রংপুর জেলা থেকে বহু শিক্ষার্থী আসত এ কলেজে লেখাপড়া করতে।