ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট

পাঠদান বিঘ্নিত
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট

বরিশাল বিশ্ববিদ?্যালয়ের (ববি) দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ নেই। অন্য বিভাগের ক্লাসের বিরতিতে কক্ষ খালি পেলে শিডিউল করে ক্লাস নেয় বিভাগটি। এমন চরম শ্রেণিকক্ষ সংকটের মধ্যে ২০২২ সালে নতুন করে সমাজকর্ম বিভাগ খোলা হয়েছে। এই বিভাগটির জন?্যও শ্রেণিকক্ষ নেই। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় ক্লাস ও অফিস কক্ষের ব?্যবস্থা করা হয়েছে। শুধু দুটি বিভাগ নয়, ছয়টি অনুষদের ২৫টি বিভাগের ৯ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী এমন ভোগান্তিতে শিক্ষাজীবন পার করছে। ছয়টি ব্যাচের জন্য মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। তাতে সিডিউল করে দিনে প্রতি ব?্যাচের একটি করে ক্লাস নেওয়া সম্ভব। যেদিন পরীক্ষা থাকে সেদিন ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। এক যুগেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠা পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টির এই সংকট কাটাতে কোনো উপাচার্যই উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। এমন পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ?্যালয় প্রশাসন থেকে প্রকল্প শেষ হওয়া না হওয়ার ওপর দায় চাপানো হচ্ছে। ২০১১ সালে অস্থায়ী ক?্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি কর্ণকাঠি স্থায়ী ক?্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়। ৫০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত ক?্যাম্পাসে বিশ্ববিদ?্যালয়টিতে আজ পর্যন্ত অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি ভবনেই প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, ট্রেজারার কক্ষ, উপাচার্য কক্ষ, পরিবহন দপ্তর, আইটি দপ্তর, অর্থ দপ্তর, পরিকল্পনা দপ্তর, রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ ৬টি অনুষদের ২৫টি বিভাগের সব কার্যক্রম চলে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম প্রকল্পের কাজ ২০১৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হতে সময় লাগে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। সরকারি বিধান মতে প্রথম প্রকল্প সমাপ্তির জরিপ মন্ত্রণালয়ে না পাঠালে দ্বিতীয় প্রকল্পের প্রস্তাবনা গ্রহণ করা হয় না। সে অনুসারে ২০১৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হতে ২০২১ সাল লেগে যাওয়ায় এরই মধ্যে ৫ বছর পিছিয়ে গেছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রাব্বি খান বলেন, বিভাগে মাত্র একটা ক্লাসরুম থাকার কারণে একসঙ্গে একাধিক ব্যাচের ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। এক ব্যাচের ক্লাস হলে অন্য ব্যাচকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। শিক্ষকরাও সিলেবাস শেষ করার জন্য যথেষ্ট সময় পান না। সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারেন না। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহীন আলম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের তুলনায় ল্যাব রুমের সংকট রয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতিও নেই। ল্যাব রুমের সংকটের কারণে আমাদের গ্রুপে কাজ করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত