ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় হোল্ডিং নং ২৮৮/৫ থেকে ৯৮/২ হয়ে উত্তর ভাষানটেক পর্যন্ত ড্রেনেজ লাইন নির্মাণসহ প্রায় এক কিমি. সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাটি বেশি কয়েকটি টেক নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে আলব্দীরটেক, বাইগারটেক, মানিকদী। এসব এলাকা ঢাকা শহরের অন্য এলাকার তুলনায় অনেক নিচু। বৃষ্টির সময় উঁচু এলাকার পানি নেমে এই এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই মাস্টারপ্লানের মাধ্যমে প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করে ভাষানটেক এলাকায় পরিকল্পিত উন্নয়ন করা হবে।’
মেয়র বলেন, ‘ভাষানটেক এলাকাকে সাজাতে সার্বক্ষণিক আমার সঙ্গে চেষ্টা করে যাচ্ছেন এই এলাকার সংসদ সদস্যসহ কাউন্সিলরবৃন্দ। তবে এলাকাবাসীকে অনুরোধ করছি আপনারা রাস্তা নির্মাণের জন্য অন্তত ২০ ফিট প্রশস্ত জায়গা ছেড়ে দিবেন। ২০ ফিটের নিচে রাস্তা নির্মাণ করলে অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে পারে না, অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না। এমনকি লাশের গাড়ি পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না? অতএব, কোনো রাস্তা ২০ ফিট প্রশস্ত না হলে সেটি সিটি কর্পোরেশন নির্মাণ করবে না। সেই রাস্তা করে কোনো লাভ নেই।’ নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘দেখেন ২০ বছর আগে এই এলাকায় জনসংখ্যা কত ছিল আর ২০ বছর পরে বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে কত হয়েছে। বিপুল এই জনসংখ্যার জন্য কার্যকরী টেকসই রাস্তা নির্মাণ করতে হবে। প্রতিটি রাস্তায় ড্রেন নির্মাণ করা হবে। ২০ ফিট প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য কেউ জায়গা না ছাড়লে সংসদ সদস্য ও কাউন্সিলররা তাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাদের বোঝাবেন এই প্রশস্ত রাস্তা মেয়রের জন্য না, সংসদ সদস্য বা কাউন্সিলরের জন্য না। প্রশস্ত রাস্তা হবে জনগণের জন্য।’ বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি মেয়র নামফলক উন্মোচন করে সড়কের নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করনে এবং অন্যান্য চলমান কাজ পরিদর্শন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জহির আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার শীলা, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।