দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর যেন পাল্টে গেছে রাজধানীর চিত্র। আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো নগরে। যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস বন্ধ, রাজধানীর অভ্যন্তরীণ বাসের সংখ্যাও সীমিত। পণ্যবাহী পরিবহন চলাচলও কমেছে রাজধানীজুড়ে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হয়েছে গত বুধবার সন্ধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে, এমন ঘোষণা আসার পর থেকেই আতঙ্ক বিরাজ করছিল জনমনে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ইসি জানায়, ভোট ৭ জানুয়ারি। তপশিলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সামনে আরো আন্দোলন কঠিন হবে। এদিকে, বিএনপির ডাকা অবরোধের পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় দিন চলছে গতকাল বৃহস্পতিবার। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অবরোধের পাশাপাশি জনমনে বাড়তি আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে তপশিল। সকাল থেকে গাবতলি, শ্যামলী, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও কমলাপুর বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সোহাগ পরিবহনের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গতকাল তাদের কোনো দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না। আজ শুক্রবার ভোর থেকে নিয়মিত সূচি অনুযায়ী বাস চলছে। এদিকে গাবতলি ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ডে দেখা গেছে, পণ্যবাহী পরিবহনগুলো অলস পড়ে আছে। পরিবহন শ্রমিকরাও সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস পালন করছেন কর্মহীনভাবে। পিকআপ মালিক মো. মিঠু বলেন, অবরোধে আমাদের গাড়ি চলে। কিন্তু গাড়ি তো ট্রিপ থাকলে চলে। কোনো ট্রিপই নাই। মানুষের মধ্যে ভয়। অবরোধে কেউ বাইরেই আসে না। ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা কম হইলেও গাড়ি ছাড়ব। একই কথা জানালেন পিকআপ চালক মো. মনজু। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহ ঠিকমতো পাঁচদিন গাড়ি চলে নাই। আমাদের সংসার চলে কীভাবে? এখন সবার মধ্যে ভয় ঢুকেছে। ভয়টাও স্বাভাবিক। একটু পরপর গাড়িতে আগুন দেয়। কার গাড়িতে কখন দেয় কে জানে! মানুষও আসে না।