কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং ভোক্তাপর্যায়ে শীতকালীন শাকসবজি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে রংপুর জেলা ছাত্রলীগ। এরই অংশ হিসেবে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ন্যায্যমূল্যে শাকসবজি কিনে তা কম দামে বিক্রির ব্যবস্থা করেছে সরকারদলীয় এই ছাত্রসংগঠন। এর মাধ্যমে সাধারণ ভোক্তারা কম দামে সঠিক ওজনে পছন্দের শাকসবজি কেনার সুযোগ পেয়েছেন। গত বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর জেলা স্কুল মোড়সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে সাশ্রয়ী মূল্যে সবজি বিক্রয়ের এ আয়োজন করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে যেমন সাড়া মিলেছে, তেমনি কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষজন। কার্যক্রমের প্রথম দিনে আলু ৩৫ টাকা কেজি, শাক ৫ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ২০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ ও ফুলকপি ৪০ টাকা, শিম ৪০ এবং করলা কেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়।
সবজি কিনে বাড়ি ফেরার পথে নূর হাসান নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘খুব ভালো নাগতেছে। কম দামে আলু পানু, সাতে বাইগোন আর সিম্যাও নিনু। বাজারের তুলনায় এ্যটে কোনা কম দাম নিচে। হামরা গরিব মানুষ কমোত জিনিস কিনিবার পাইলেই খুশি। এটার জনতে ছাত্রলীগের ভাইয়োকঘরে ধন্যবাদ জানাওছি।’ সালমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘সব শাকসবজি টাটকা এবং সতেজ। দামে যেমন কম, তেমনি ওজনেও একদম সঠিক পেয়েছি। আমার খুব ভালো লাগছে। আমরা চাই বাজারেও এমন সহনীয় মূল্যে শাকসবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি হোক। সরকার যদি সিন্ডিকেট ভাঙতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে তাহলে সাধারণ মানুষ বেশি উপকৃত হবে।’ এ ধরনের আয়োজন প্রসঙ্গে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম তানিম আহসান চপল বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে একশ্রেণির মানুষ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে। সেই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই এই আয়োজন। রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাব্বির আহমেদ বলেন, উৎপাদিত শাকসবজি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে।