ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ভারি বর্ষণে বরিশাল নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলো তলিয়ে গেছে। গতকাল সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি। খুব জরুরি কাজ সারতে বৃষ্টিতে ভিজে কেউ কেউ বাইরে বের হলেও দ্রুত ঘরে ফিরেছেন সবাই। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও বাস চলাচল করেছে। তবে যাত্রী সংখ্যা খুবই সীমিত ছিল। গতকাল সকাল থেকেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায়। বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, দুপুর ১২টার দিকে ১১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রাতে এই বর্ষণ আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভ্যন্তরীণ সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। নৌযানের নিরাপত্তায় সবাইকে নিরাপদে নোঙর করতে বলা হয়েছে। স্পিডবোট, ট্রলার গতকাল সকাল থেকেই বন্ধ করা হয়েছে। বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে ভারি বর্ষণে অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গতকাল ইউসুফ নামে এক রিকশাচালক বলেন, সকালে কিছুটা বৃষ্টি কম ছিল।
তখন দুয়েকজন যাত্রী পেয়েছি। কিন্তু দুপুরের পর এত বেশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাস্তায় একজন লোকও পাচ্ছি না। শহরের সবগুলো রাস্তা তলিয়ে গেছে। অনেক রাস্তায় হাঁটু পানি জমেছে। রফিকুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আজকে রোজগার করতে পারিনি। বিকেলে বৃষ্টি কমলে চেষ্টা করব। এখন বৃষ্টি কমে আসার অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, বৃষ্টিতে যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বৃষ্টির পানি যেন আটকে না থাকে এজন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা কাজ করছেন।