দেশে মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মানুষ প্রতিবন্ধিতায় ভুগছে। তাদের মধ্যে ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৯ শতাংশ নারী। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৯ বা তার চেয়ে কম বয়সিদের মধ্যে প্রতিবন্ধিতার হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ। আর সত্তরোর্ধ্বদের মধ্যে এই হার ৪৭ শতাংশ। এ অবস্থায় দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা নিরাপদ পানি, পয়নিষ্কাশন, ও স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক নানা সমস্যায় সম্মুখীন হয় বলে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) জরিপে উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটের ডেইলি স্টার সেন্টারে ‘দেশব্যাপী প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের নিরাপদ পানি, পয়নিষ্কাশন (ওয়াশ) ও স্বাস্থ্যবিধিবিষয়ক সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। বৈঠকে জানানো হয়, জনসংখ্যাভিত্তিক সমীক্ষাটির কার্যক্রম গত নভেম্বের ২০১২ তারিখ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশের আটটি বিভাগের ৩২টি জেলায় পরিচালিত হয়েছে। এই গবেষণায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শনাক্তকরণে, শহর ও গ্রামের ৬ হাজার ৪৫৭ পরিবারের মোট ১৭ হাজার ৫৭৭ জন ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। সর্বজন গৃহীত ‘ওয়াশিংটন গ্রুপের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলির’ মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি শনাক্তকরণ করা হয়। ওই প্রশ্নাবলির ছয়টি বিভাগের যেকোনো একটিতে কেউ ‘অনেক অসুবিধা’ বা ‘কিছুই করতে পারে না’ বলে উল্লেখ করলে অথবা ‘প্রতিদিন’ এবং ‘অনেক বেশি’ বিষন্ন বা উদ্বিগ্ন থাকলে তাদের প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সমীক্ষার ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীতার হার ৮ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৭ শতাংশ এবং নারী ৯ শতাংশ। তবে ৫৯ বছর কিংবা এর চেয়ে কম বয়সিদের প্রতিবন্ধিতার হারের (৫ দশমিক ২ শতাংশ) তুলনায়, ৭০ বা তার বেশি বয়সিদের মধ্যে প্রতিবন্ধিতার হার (৪৭ শতাংশ) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এদিকে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের ওয়াশবিষয়ক সমস্যা এবং সম্ভাব্য সমাধান সার্বিকভাবে চিহ্নিত করতে ২ হাজার ৩৭৮ জন প্রতিবন্ধী ও স্বাভাবিক ব্যক্তিদের সাথে একটি পূর্ণাঙ্গ জরিপ সম্পন্ন করা হয়।