বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম লেখা প্রথম নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’। যেখানে কবি নারীকে কেবল সৌন্দর্যের আলোক না, একজন পরিপূর্ণ মানুষ এবং পুরুষের সমান অংশরূপে উপস্থাপন হয়েছে। নাটকের সূত্রে জানানো হয়, মণিপুররাজের ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে শিব বর দিয়েছিলেন যে তার বংশে কেবল পুত্রই জন্মাবে। তৎসত্ত্বেও যখন রাজকুলে চিত্রাঙ্গদার জন্ম হলো, তখন রাজা তাকে পুত্ররূপেই পালন করলেন।
রাজকন্যা অভ্যাস করলেন ধনুর্বিদ্যা, শিক্ষা করলেন যুদ্ধবিদ্যা, রাজদণ্ডনীতি। অর্জুন দ্বাদশবর্ষব্যাপী ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে ভ্রমণ করতে করতে এসেছেন মণিপুরে। আর সেইখানে নাটকের মূল যাত্রা শুরু। পুরুষবেশী চিত্রাঙ্গদা সখীদের নিয়ে শিকারের সন্ধানে বেরিয়ে পাহাড়ে দেখে মিলে অর্জুনের। অর্জুনের সামনে বীরত্ব প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে চিত্রাঙ্গদা তাকে আহ্বান করলেন যুদ্ধে। কিন্তু অর্জুন সকৌতুকে অবজ্ঞা করলেন তাকে। এদিকে চিত্রাঙ্গদার মনও উদ্বেলিত হলো কাঙ্ক্ষিত বীর অর্জুনের প্রতি। পরদিন চিত্রাঙ্গদা তাকে ‘হৃদয় মন প্রাণ’ নিবেদন করতে গেলেন।