তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে হবে : ই-ক্যাব
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
তরুণ প্রজন্মকে নেশায় আসক্ত করতে হিট-নট-বার্ন বা ই-সিগারেট একটি নতুন অস্ত্র, যা এ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই দেশের তরুণ সমাজকে রক্ষায় এখনই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা জরুরি বলে জানিয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যরা। সিগারেট কোম্পানিগুলো তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছে বলেও জানান তারা। গতকাল রাজধানীর বনানীতে ই-ক্যাব কার্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টর কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী শরিফুল ইসলাম।
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টকে স্বাস্থের জন্য মারাত্মক ক্ষতির পণ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এমনকি, ই-সিগারেটকে তামাকপণ্য ব্যবহারের গেটওয়ে হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময় ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাব উদ্দিন শিপন বলেন, তামাক কোম্পানি সবসময়ই বিভিন্ন কূট-কৌশল অবলম্বন করে দেশের জনম্বাস্থ্যকে ক্ষতির মুখে ফেলে। বর্তমানে তারা দেশে ই-সিগারেট আমদানি ও প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে এবং তরুণদের এই নেশায় আসক্ত হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে। ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করতে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। এ সংক্রান্ত আইন দ্রুত পাস করতে হবে। অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন তার বক্তব্যে বলেন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে তামাক কোম্পানিগুলো ইউটিউব, ফেসবুক, ওয়েবসাইট ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ই-সিগারেটের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রচার করে তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে তামাক কোম্পানিগুলো। এছাড়া যারা ধূমপান ছাড়তে চায়, তাদের প্রচলিত সিগারেটের বদলে ই-সিগারেট ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। ই-সিগারেটের প্রসার বন্ধে এখনই কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি। ই-ক্যাবের সদস্য হুরায়রা শিশিরের উপস্থাপনায় সেমিনারে অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোখেলেসুর রহমান, পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহানসহ অনেকেই।