সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের ভোটে মনোনয়ন দিবেন না

আহ্বান হিন্দু মহাজোটের

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিগত সময়ে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে ও পরে সনাতন সম্প্রদায়ের স্থাপনা, ঘরবাড়ি ও মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমরা বিভিন্ন সময় বিগত ৫ বছরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের চিত্র আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেছি। বিগত ৫ বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলের একের পর এক ঘটনা ঘটেছে। এ সমস্ত ঘটনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, সে অঞ্চলের সংসদ সদস্যরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। আমরা মনে করি শাসক দলের আশ্রয়-প্রশ্রয়, সমর্থন ছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়ে পার পাওয়া সম্ভব না। আমরা আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দলের কাছে দাবি করছি, অতীতে যারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যেসব সংসদ সদস্য হিন্দু সম্প্রদায়ের ভূমি দখল, নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্যকরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাদের যেন কোনো মনোনয়ন না দেওয়া হয়। পলাশ বলেন, যদি বিগত সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের মনোনয়ন দেওয়া হয়, সেখানে হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জন বা ওই প্রার্থীকে ভোট দানে বিরত থাকবে, সেটা যে দলের হোক না কেন। হিন্দু মহাজোটের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা চাই নির্বাচন উৎসবমুখর হোক। আমরা আশঙ্কা করছি যে, অতীতের নির্বাচনের মতোই এবারও হিন্দু সম্প্রদায়ের মঠ, মন্দির, ঘরবাড়ি, প্রতিমা ভাঙচুর এবং নারীদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন হতে পারে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি নিরাপত্তা দানে ব্যর্থ হয় এবং এ অজুহাতে যদি হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। শুধু আশ্বাস নয়, অপরাধী যে দলের হোক না কেন, নির্বাচনকালীন যে কোনো সহিংসতা রোধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস।