সিলেটে বাসাবাড়িতে রান্নার গ্যাসে দুর্গন্ধ

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত লাইনের গ্যাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গ্যাসের চুলা ও রাইজারের আশপাশে বাতাসে গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত ও উৎকট গন্ধে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। তবে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

গত গত সোমবার বিকাল থেকে সিলেট নগরের মিরবক্সটুলা, চৌহাট্টা, মিরের ময়দান, সুবিদবাজার, হাউজিং স্টেট, নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, রিকাবীবাজার, শেখঘাট, উপশহর, টিলাগড় ও শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকাল থেকে হঠাৎ করে আবাসিক বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন, কোথাও কোনো লিকেজ রয়েছে। সেজন্য এমনটা হচ্ছে।

রাস্তার পাশে যেখানে গ্যাসের সরবরাহ লাইন, রাইজার রয়েছে, সেসব এলাকায় গ্যাসের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নগরের মিরবক্সটুলা এলাকার বাসিন্দা আল আজাদ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ বাসায় গ্যাসের উৎকট গন্ধ পাই। পরে চুলা পরীক্ষা করে দেখি গ্যাসের লিকেজও নেই। কিন্তু দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।’ মদিনা মার্কেট এলাকার আব্দুল মুহিত বলেন, বিকাল থেকে বাসার সামনে গ্যাসের তীব্র ঝাঁজালো গন্ধ পাচ্ছি। কোথাও গ্যাসলাইন লিকেজ হয়েছে সন্দেহে বাসার আশপাশের গ্যাস সঞ্চালন লাইন পরীক্ষা করে দেখি কিন্তু কোনো লিকেজ পাইনি। গ্যাস অফিসে কল দিয়েছি।

তারা বিষয়টি দেখবেন বলেছেন। আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রেজা রুবেল বলেন, বাসার বাইরে প্রচণ্ড পরিমাণ গ্যাসের গন্ধ পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, নগরীর অনেক জায়গা এ ধরনের গন্ধ বের হচ্ছে।

এনিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেওয়া হয়, সেটা নিরাপত্তার জন্যই দেওয়া হয়। এতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়। তিনি আরো বলেন, বিকেলের দিকে নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসলাইন লিকেজ আছে কি না, তা জানার জন্য গ্যাসের মধ্যে গন্ধ দেওয়া হয়, যাতে এ গ্যাসের গন্ধ মানুষ পায়। গন্ধের বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে কেউ অবহিত করলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে অনুসন্ধান করে লিকেজ বন্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া আমরাও যেখানে গন্ধ পাচ্ছি, সেখানে লিকেজ শনাক্ত করছি।