ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নগর দরিদ্রবান্ধব নির্বাচনি ইশতেহারের দাবি

নগর দরিদ্রবান্ধব নির্বাচনি ইশতেহারের দাবি

রাজধানীর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য নগর দরিদ্রবান্ধব নির্বাচনি ইশতেহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডেজিনাস নলেজ (বারসিক)। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘নগর দরিদ্রবান্ধব নির্বাচনি ইশতেহার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এই দাবি জানায়। আলোচনা সভায় বক্তার বলেন, ঢাকা বাংলাদেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় অধিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এই শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৩ হাজার ২৩৪ জন এবং বস্তিতে এই ঘনত্বের হার আরো অনেক বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩০ সালে ঢাকা হবে ষষ্ঠ মেগাসিটির শহর। জলবায়ু পরিবর্তন, কাজের সংকটসহ নানাবিধ কারণে শুধু প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ১৮০০ মানুষ ঢাকা শহরে আগমন করে এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে এদের অধিকাংশ মানুষের স্থান হয় ঢাকা শহরের অনিরাপদ, ঘিঞ্জি, ঘনবসতিপূর্ণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপদ অবাসনসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা বঞ্চিত বস্তি এলাকায়। এখানে আবাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদন, সামাজিক নিরাপত্তা সেবা পরিসেবাসহ নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। তারা আরো বলেন, যে জলবায়ু সংকট দরিদ্রদের বাস্তচ্যুত করে উদ্বাস্তু করেছে, এই নগরে এসেও তারা জলবায়ু নেতিবাচক প্রভাবের শিকার হচ্ছে। নগরের বস্তি এলাকায় বসবাসরত এই নগর দরিদ্র জনগোষ্ঠী আবারো জলবায়ু পরিবর্তনের নানা নেতিবাচক প্রভাবের ফলে নগরেও দুর্ভোগ সামাল দিচ্ছে। গ্রীষ্ম ও শীতকালে তীব্র তাপদাহ ও শৈতপ্রবাহ, বর্ষায় জলাবদ্ধতা সামাল দিতে হয় এবং এর ফলে তাদের রোজগার কমে যায়, কর্মসংস্থানে সমস্যা দেখা দেয়, বিভিন্ন রোগবালাই বেড়ে যায় এবং সবমিলিয়ে পারিবারিক ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে চিকিৎসা করতে গিয়ে তারা ঋণ করতে বাধ্য হন। এর বাইরে বস্তি উচ্ছেদ, আগুনে বস্তি পুড়ে যাওয়া, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করার কারণে পরিবারের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে তারা অনিশ্চিত জীবন পার করতে থাকেন। তাই নগর দারিদ্র্য এবং সামাজিক বৈষম্য কমানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ৬টি দাবি যুক্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত