ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অফিসগামীরা মেট্রোতে গণপরিবহণে যাত্রী কম

অফিসগামীরা মেট্রোতে গণপরিবহণে যাত্রী কম

রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, ফার্মগেট, মতিঝিল রুটের যাত্রী মেট্রোরেলে। গণপরিবহন থাকলেও যাত্রী কম। প্রাইভেটকারের চলাচল স্বাভাবিক। মিরপুরের বিআরটিএ সড়কে নিবন্ধনে আসা গাড়ির দীর্ঘলাইন। পিকেটার নেই, সড়ক দখল আওয়ামী লীগের মিছিলে।

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের সপ্তম ধাপের কর্মসূচিতে গতকাল রোববার সকালে মিরপুর-১০ গোলচত্বর, শেওরাপাড়া, ফার্মগেটে, শাহাবাগ, মতিঝিলে এমন চিত্র দেখা গেছে। মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে অন্যদিনের মতোই বাস সিএনজির লম্বা লাইন দেখা গেছে। দেখা গেছে, সকাল থেকে ট্রাফিক পুলিশের ব্যস্ততা। যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে মোটরসাইকেল। তুলনামূলক যাত্রী কম। যাত্রী সোজা চলে যাচ্ছে মেট্রো টার্মিনালে। এর ফলে নিচে যে জটলা লেগে থাকত, সেটা আর চোখে পড়েনি।

তবে প্রাইভেট কারের লম্বা লাইন দেখা গেছে সিগন্যালের বিপরীতে। অন্যদিনের মতোই অনেকটাই স্বাভাবিক। মিরপুর-১০ নম্বর বাস আছে, যাত্রী কম- অবরোধের কারণে কি মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। আপনি তো সকাল সকাল দোকান খুলেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহ আলী মার্কেটের সামনে ফুল ব্যবসায়ী আমিরুল হক বলেন- না ভাই, অবরোধ যাত্রীকে খায়নি। যাত্রী নিয়ে গেছে মেট্রোরেলে।

মেট্রোর স্টেশনে যাইয়া দ্যাখেন দেখতে পারবেন যাত্রী কোথায় গেছে! মিরপুর-১০ নম্বরের মেট্রোর স্টেশনে নিচে সে চিত্রই দেখা যায়, কর্মস্থলমুখী মানুষ মেট্রোর সিঁড়ির বেয়ে উপরে উঠছে। গাড়ির নিবন্ধনের জন্য স্বাভাবিক কর্মদিবসে গাড়ির দীর্ঘলাইন মিরপুর-১৩ নম্বর অতিক্রম করে যায়। গতকাল রোববার অবরোধেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। একই চিত্র দেখা গেছে শেওরাপাড়া, বিজয় সরণি ও কারওয়ান বাজারে। কারওয়ান বাজারে মেট্রো স্টেশনের নিচে বাসের দীর্ঘজট। তবে ফার্মগেটে সে চিরচেনা অজস্র মানুষ একে অপরকে ঠেলে সামনে যাচ্ছে না। অনেকটা ফাঁকা। গণপরিবহনও কম। ফার্মগেটে মেট্রোরেলের স্টেশন খামারবাড়িতে চলে যাওয়ায় জ্যামের ঠিকানায় বদলে গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর মার্কেট ও ফুটপাথ কেন্দ্রিক দোকানও খোলা শুরু হয়েছে। মিরপুর-১০ এর গোলচত্বর থেকে দুই নম্বরমুখী অধিকাংশ দোকান খুলেছে। হোটেল রেস্টুরেন্ট খুলেছে। সাপ্তাহিক ছুটির কারণে কিছু মার্কেট বন্ধ রয়েছে। ফুটপাথকেন্দ্রীক দোকানও খোলা শুরু করেছে। তবে মতিঝিলের হকাররা তুলনামূলক কম বসেছে। মতিঝিলে সাধারণত দুপুর থেকে বসা শুরু করে। তোপখানা মেট্রোর স্টেশন হলেও বদলাতে পারেনি পল্টন মোড়ের বাসের জটলা। অবরোধের কোনো স্পর্শ লাগেনি পুরানা পল্টনের বাসের জটলাতে।

সেদিক থেকে মতিঝিলে কম বাস চোখে পড়েছে। চেম্বার ভবনের সামনে মেট্রোরেল থেকে নেমে অফিসমুখী মানুষের এক সঙ্গে চলা নতুন এক দ্যোতনা তৈরি করেছে। পুরানা পল্টনে মনি সিংহ-কমরেড ফরহাদ ট্রাস্ট ভবনের সিড়ি সংলগ্ন বইয়ের দোকানে অপেক্ষমাণ একজন ক্রেতা একটু কৌতুক করেই বললেন, মানুষ এখন অবরোধ ছেড়ে মেট্রোর তিনতলা স্টেশনে উঠে গেছে!

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত