ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস যাত্রীখরা গাবতলীতে

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সপ্তম ধাপের ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের দ্বিতীয় দিনও রাজধানীতে চলছে গণপরিবহণ। বাস-মিনিবাসের পাশাপাশি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশায় করে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। তবে সরকারবিরোধীদের এই কর্মসূচির কারণে যাত্রীখরায় ভুগছে দূরপাল্লার পরিবহণগুলো। সেজন্য ঢাকা ছাড়ছে না বেশিরভাগ বাস। দুয়েকটি বাস প্রয়োজনীয়সংখ্যক যাত্রী পেলেই ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যে। গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতের এই টার্মিনালে শত শত বাস সারি করে রাখা হয়েছে। প্রায় ফাঁকা কাউন্টারগুলো। যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যাত্রী আসছেন না কাউন্টারে। পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে কিছু পরিবহণ চাইলেও গন্তব্যে ছেড়ে যেতে পারছে না। কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, দুয়েকজন যাত্রী আসছেন, তাদের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু ছেড়ে যাওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলা হচ্ছে না। কারণ কখন গাড়ি ছাড়া যাবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট শিডিউলও নেই।

৪০ আসনের বাসে ১৫-২০ জন যাত্রী হলেও গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। এর চেয়ে কম হলে বাস ছাড়ছেন না সংশ্লিষ্টরা। সেজন্য গুটিকয়েক যেসব যাত্রী আসছেন, তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা টার্মিনালে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কোনো কোনো পরিবহণ আবার যাবে না বলেই যাত্রীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। সেজন্য জরুরি কাজে বেরোনো যাত্রীরা আন্তঃজেলার গাড়ি না পেয়ে লোকাল পরিবহণে ফিরছেন গন্তব্যে। ঈগল পরিবহণের টিকিট কেটে অপেক্ষমাণ যাত্রী লোভা বলেন, আমি সকালে দুবাই থেকে ঢাকায় এসেছি। যাব যশোর। টার্মিনালে আসার পর দেখি যাত্রী কম। তখন টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহণের লোকজন আমার ব্যাগ নিয়ে খুব টানাহেঁচড়া করেছে। এ বলে আমার গাড়িতে আসেন, ও বলে আমার গাড়িতে আসেন। তবে আমি ঈগল পরিবহণের টিকিট নিয়ে এখন গাড়িতে বসলাম, দেখি কখন গাড়ি ছাড়ে। ঈগল পরিবহণের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, সকাল থেকে একটা গাড়িও ছাড়তে পারিনি, কারণ যাত্রী নেই। এখন একটি গাড়ি খুলনার উদ্দেশ্যে ছাড়ার জন্য রেডি করছি।