আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল মিরপুরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রদান চালু হয়েছে। গতকাল সোমবার ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনাকালে মিরপুর ক্যান্সার হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুব্রত মিস্ত্রি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ, প্রতিকার, ঝুঁকি, কাদের জন্য এই ভ্যাকসিন প্রয়োজন প্রভৃতি তুলে ধরেন। ইনফ্লুয়েঞ্জার কারণে সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ মানুষ মারাত্মক অসুস্থতায় ভোগে এবং প্রায় ২.৫ থেকে ৫ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এই ভাইরাস ভীষণ ছোঁয়াচে হাচি, কাঁশি এবং শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। বাংলাদেশে অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই রোগের প্রাদুর্ভাব থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপসর্গগুলো হলো জ্বর (অধিকাংশ ক্ষেত্রেতীব্র), মাথাব্যাথা, মারাত্মক দুর্বলতা, শুকনো কাঁশি, গলাব্যথা, মাংস পেশিতে ব্যথা, বমিভাব এবং ডায়রিয়া হতে পারে। এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ নাই তবে অহঃরারৎধষ হিসাবে ঙংবষঃধসরারৎ এই ওষুধটি অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বয়স্ক (৫০ এর ঊর্ধ্বে) ব্যক্তি, অ্যাজমা আক্রান্ত ব্যক্তি, হৃদরোগী, ডায়াবেটিস, কিডনি ও লিভার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা প্রভৃতি। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের ডঐঙ স্বীকৃত সারা বিশ্বে প্রচলিত। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন ডা. ইসলামউদ্দিন চৌধুরী এবং মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম। আলোচনা শেষে হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. সালাহউদ্দিন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন নেন। এরপর হাসপাতালের কনসালটেন্ট, ডাক্তার, কর্মকর্তারা ভ্যাকসিন নেন। এরইমধ্য দিয়ে আহ্ছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল মিরপুরে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন কর্মসূচি চালু হলো যা সারা বছর সবার জন্য উন্মুুক্ত থাকবে।