খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা’র আদর্শ বাস্তবায়নে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) আদর্শ মানুষের কল্যাণের জন্য তরুণদের মিশনের কাজে সম্পৃক্ত করেছিলেন। তিনি মনে করতেন তারুণ্য হলো মানুষের জীবনে নীতি-নৈতিকতা ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে ওঠার সময়। পুরাতনকে ভেঙে সংস্কার করে নতুন কিছু করা যেন তারুণ্যের ধর্ম। সমাজের এই সংস্কারকাজে তরুণ সমাজকে সাহস ও সততার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। তার ১৫০তম জন্মবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় পটুয়াখালী সাতানী আমির উদ্দীন স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে ‘মানবতার সেবায় তারুণ্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল জব্বার হাওলাদার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.)-এর কর্মজীবন থেকে আমাদের সুন্দর জীবন গঠনে শিক্ষা নেয়ার আছে। দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ ও যুবক। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বৈচিত্র্যসহ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হলে তরুণদের কথা ভাবতে হবে। তরুণরা বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবে। তাই তরুণদের আদর্শবান ও নৈতিক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থি ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিমুল চন্দ্র মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক হিমাংশু চন্দ্র মিস্ত্রি এবং সহকারী শিক্ষক আব্দুল মালেক বিশ্বাস। এছাড়াও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুধী সমাজ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত অতিথিরা আরো বলেন, খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের কথা বলেছিলেন। আমাদের দেশের তরুণদের অর্জন অনেক। খেলাধুলা, শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। তবে তরুণদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের শক্তি দেশ ও জাতির জন্য সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা যেমন স্পষ্ট নয়, তেমনি তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আজকের তরুণ সমাজই ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারক। তাই তাদের গড়ে তুলতে আমাদের সক্রিয় হতে হবে এবং বেশি করে খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা আদর্শ বাস্তবায়নে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।