সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান গতকাল শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে, ডিএসসিএসসি, মিরপুর সেনানিবাস, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কোর্স সম্পন্নকারী অফিসারদের মাঝে গ্র্যাজুয়েশন (পিএসসি) সনদপত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশি ও বিদেশি সামরিক কর্মকর্তাদের কৌশলগত দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে ডিএসসিএসসির ভূমিকা অনস্বীকার্য। গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্নকারী সকল অফিসারদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি তাদের এই কোর্সে অর্জিত প্রজ্ঞা, সংকল্প ও পরিকল্পনাকে জাতির অগ্রগতিতে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। তিনি সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্টকে ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৩-এর সফল সমাপ্তির জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। (মহামান্য রাষ্ট্রপতির বক্তব্য কপি সংযুক্ত) অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কমান্ড্যান্ট ডিএসসিএসসি, মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান । তিনি কলেজের অগ্রগতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর পেশাগত উন্নয়নে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অব্যাহত সহায়তা ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তার সদয় উপস্থিতির জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তার বক্তব্যে এই কোর্সে অংশগ্রহণকারী অফিসারগণ আধুনিক সশস্ত্র বাহিনী পরিচালনায় একতা, বন্ধন, ভাতৃত্ব ও জ্ঞানকে বিস্তৃত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বছর ডিএসসিএসসি কোর্স-২০২৩ এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩৬ জন অফিসার, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪৫ জন অফিসার, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ২৪ জন অফিসার, বাংলাদেশ পুলিশের ০৩ জন অফিসার এবং ব্রুনাই, মিশর, জার্মানী, ভারত, ইন্দানেশিয়া, কেনিয়া, কুয়েত, লাইবেরিয়া, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সিয়েরা লিওন, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাম্বিয়া থেকে আগত ৪৯ জন অফিসারসহ সবর্মোট ২৫৭ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, তিন বাহিনী প্রধানগণ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ (চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত), বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অধ্যাপকবৃন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের মিলিটারী-ডিফেন্স এ্যাটাচি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।