রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের কিডনি ডায়ালাইসিস মেশিনের মূল্যবান যন্ত্রাংশ পুড়ে গেছে। এতে বিকল হয়ে পড়েছে কয়েকটি মেশিন। ফলে ওই ইউনিটে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শতশত রোগী। গত মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী জানান, মেশিনগুলো জরুরিভাবে মেরামতের জন্য তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। শটসার্কিট বন্ধে স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত ২৫ নভেম্বর দুপুরে হঠাৎ বৈদ্যুতিক শটসার্কিটে পুড়ে গেছে সাতটি মেশিন ও আটটি এয়ারকন্ডিশনার (এসি)। এতে ব্যাহত হয়ে পড়ে ডায়ালাইসিস কার্যক্রম। হাসপাতালের ডায়ালাইসিস বিভাগের ইনচার্জ সাজেদা খাতুন জানান, কয়েক ধাপে এ বিভাগে ৩৯টি ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করা হলেও শুধু বৈদ্যুতিক সমস্যায় নষ্ট হয়েছে ২০টি। বর্তমানে ১৯টি মেশিন সচল থাকলেও সেগুলো চলছে জোড়াতালি দিয়ে। তিনি বলেন, ‘গড়ে প্রতিদিন ৭০ জন রোগী আসেন ডায়ালাইসিস করতে। তবে দায়িত্বশীল মানুষের অভাবে বিকল হচ্ছে এসব যন্ত্র। ডায়ালাইসিস করতে না পারায় রোগীর স্বজনদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।’ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের গত ২৭ তারিখ পর্যন্ত রমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করেছেন ১৪ হাজার মানুষ। হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এবিএম মোবাশ্বের আলম বলেন, চিকিৎসাসেবায় তাদের কোনো আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে নষ্ট যন্ত্রপাতির কারণে এ ইউনিটের চিকিৎসকসহ কর্মকর্তাদের দুর্নামের ভাগ নিতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী আরো বলেন, কয়েকটি মেশিন মেরামত করা হয়েছে। এখন রোগীদের ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লোকজন এসে বাকিগুলোর মেরামত করবে।