ডিবি পুলিশ পরিচয়ে প্রবাসীর ৬ লাখ ডাকাতি
গ্রেপ্তার পাঁচ
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কুয়েত প্রবাসী রবিউল আওয়ালের ছয় লাখ টাকা ডাকাতি ঘটনায় পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রিয়াজ ওরফে ডিবি রিয়াজ (৩৭), মনির ওরফে দারোগা মনির (৪৭), ড্রাইভার সোহেল রানা (৩৮), সুমন শেখ ওরফে আমির হোসেন (৪২) ও নেসার (৩২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, গত ১২ নভেম্বর কুয়েত প্রবাসী রবিউল আউয়াল ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার একটি ব্যাংক থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে রিকশাযোগে বাড়িতে ফেরার পথে মালিভিটা এলাকায় একটি মাইক্রোবাস তার গতি প্রতিরোধ করে ডিবি পুলিশ পরিচয় তুলে নিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সমাসপুর এলাকায় হাইওয়ে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। এ ঘটনায় প্রবাসী রবিউল আউয়াল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ডাকাতি মামলা করলে কেরানীগঞ্জ সার্কেলের নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার একটি চৌকস তদন্তদল ব্যাংকের অভ্যন্তরে ও বাইরে ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কেরানীগঞ্জ সাভার ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান আরো জানান, অভিযানকালে ডাকাত ড্রাইভার সোহেলের কাছে থেকে একটি নীল রংয়ের নোয়া মাইক্রো জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত রিয়াজ ওরফে ডিবি রিয়াজ এবং মনির ওরফে দারোগা মনির দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল। সংঘবদ্ধ এই ডাকাত চক্রটিমূলত ব্যাংক থেকে মোটা অংকের টাকা উত্তোলোনকারীদের ফলো করে পরবর্তী সময়ে সুবিধামতো জায়গায় তাদেরকে অপহরণ করে ডিবি-পুলিশ লেখা গাড়িতে তুলে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে। এই ঘটনায় পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত আছে।