নারীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন করতে হবে বলে জানিয়েছে নারী অধিকার ফোরাম বাংলাদেশ (অরফবি)। সংগঠনটি বলছে, পরিবার থেকে প্রতিষ্ঠান আর সমাজ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায় পর্যন্ত সর্বস্তরে নারীদের অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। আর এখানেই রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখ করা অতি জরুরি। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত ‘নির্বাচনি ইশতেহার ও নারী অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটি সভাপতি মাহমুদা খানম মিলি এসব কথা বলেন। সভায় মাহমুদা খানম মিলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা মনে করি, শুধু আমাদের বাংলাদেশে নয় বরং পৃথিবীজুড়েই যেন নারী অধিকার নিয়ে নানা ধরনের মতবাদ চালু রয়েছে। ধর্ম, বিশ্বাস, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, চিন্তা ও আদর্শগত পার্থক্যের কারণে নারী অধিকার নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান এবং মতপার্থক্য প্রতীয়মান। এক পক্ষের কাছে যা অধিকার, অপর পক্ষের কাছে তা অনধিকার বলে বিবেচিত হয়। অনেকে আবার পুরুষের সমকক্ষতার অর্জনকেই নারীর প্রকৃত অধিকার বলে মনে করেন। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও রাজনৈতিক সচেতনার সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের আন্তরিকতা অতি জরুরি। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা-১০, ১৯, ২৭, ২৮ ও ২৯ নম্বর ধারাগুলো জীবনের সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রশ্ন আসে, পরিবার থেকে প্রতিষ্ঠান, সমাজ থেকে রাষ্ট্রে আদৌ কি নারী অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে? রাষ্ট্রের সর্বস্তরে সমঅধিকার নিশ্চিত করতে নারীকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে? আমরা মনে করি, সংবিধানের আলোকে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আইন করে বা আইনের সাহায্যে সাংবিধানিক অধিকার বলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে বিরাজমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে।