শীতের আগমনে রাবিতে জমে উঠছে পিঠা উৎসব

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

গোধুলী শেষে সন্ধ্যা নামার প্রস্তুতি চলছে। চারিদিকে শুভ্র কুয়াশার আবরণ। সঙ্গে শীতের হিমেল হাওয়া। খোলা আকাশের নিচে সারি সারি মাটির চুলা সাজানো। এতে দাউ দাউ করে জ্বলছে কাঠের টুকরো। সেসব চুলার ওপর কড়াই বসানো। ঠিক মুখোমুখি বসে সবাই পিঠা খাচ্ছেন। কেউ এসেছে পরিবারের সঙ্গে কেউবা বন্ধুদের নিয়ে। এদিকে চারপাশটায় সবুজ ঘাসের ওপর রঙিন পাটি বেছানো। কিছু টুলও রয়েছে। তড়িঘড়ি করে চলছে পিঠা তৈরির কাজ। এভাবেই জমে ওঠছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্র (টিএসসিসি) চত্বর। যা চলবে শীতের শেষ পর্যন্ত। ক্যাম্পাসের টিএসসিসিতে পিঠার দোকান পরিচালনা করেন মাছুম আলী। তার দোকানে প্রতিনিয়ত ১৩টি চুলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ১৮ থেকে ২০ জন কর্মচারী। তার মধ্যে অধিকাংশ রয়েছেন নারীরা। দিনে তার আয় হয় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। বিকাল ৪টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে তার দোকান। তার কাছে পাওয়া যায় পাঁচ রকমের পিঠা। এর মধ্যে রয়েছে ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠা, পাটি-সাঁপটা, পুলি পিঠা। নানা রকম পিঠার সঙ্গে রয়েছে সাত ধরনের ভর্তা। যেমন; বেগুনের ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, সরিষা, ধনিয়া পাতা, কালোজিরা ও কাঁচামরিচের ভর্তা। এসব প্লেট ও বাটিতে সাজিয়ে ক্রেতাদের পরিবেশন করছেন তারা। প্রতি পিস স্পেশাল ভাপা ২০ টাকা, নরমাল ভাপা ১০, চিতই পিঠা ১০ টাকা, পুলি পিঠা ৮ টাকা, বিভিন্ন ধরনের তেলের পিঠা ১৫ টাকা ও পাটি সাপটা ১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সঙ্গে সাত রকমের ভর্তার বিনিময়ে নিচ্ছেন আরো ১০ টাকা। বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক নাইমুর রহমান সারুল। তিনি বলেন, এখানকার পিঠাগুলো খুবই সুন্দর। শীতকালে আমাদের ক্যাম্পাসে এই উৎসবটা হয়। কিন্তু দিনের বিবর্তনে এই পিঠা উৎসবের ঐতিহ্যটা হারিয়ে যাচ্ছে। পিঠার যে গুণগত মান ছিল, এখন আর সেটা তারা ধরে রাখতে পারছে না। তারপর আনন্দমুখর পরিবেশ হয়ে থাকে এটা শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দদায়ক। কথা হয় অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষার্থী বহ্নিপ্রত্যাশার সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানকার পিঠাগুলো অনেক ভালো। এখানে ভাপা পিঠা, কুশলি পিঠা, এছাড়া বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন পিঠা খাওয়ার সুযোগ হচ্ছে।