ঢাকা ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী

বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী

নারী শিক্ষা, নারী অধিকার, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন এবং নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ভূমিকা পালনে স্বীকৃতিস্বরূপ বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ পাচ্ছেন পাঁচ নারী। গতকাল বৃহস্পতিবার বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ কথা জানান। এ সময় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ অনুষ্ঠানে ৫ জন বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক প্রদান হবে। পদক প্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পদক গ্রহণ করবেন। পদক প্রাপ্ত প্রত্যককে ১৮ ক্যারেট মানের পঁচিশ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, ৪ লাখ টাকার চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। পদক প্রাপ্ত পাঁচজন বিশিষ্ট নারী ও তাদের অবদানের ক্ষেত্র হলো, নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপচার্য খালেদা একরাম, মরণোত্তর (ঢাকা জেলা)। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ডা. হালিদা হানুম আখতার (রংপুর জেলা)। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা, মরণোত্তর (নেত্রকোনা জেলা)। নারী জাগরণে উদ্বুদ্ধকরণে নিশাত মজুমদার (লক্ষ্মীপুর জেলা)। পল্লী উন্নয়নে রনিতা বালা (ঠাকুরগাঁও জেলা)। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সনে সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ভারত, জাপান, জার্মান, ব্রিটেন ও রাশিয়া থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করেন। নির্যাতিত মহিলাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন ও তাদের যুদ্ধ শিশুদের পুনর্বাসন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত