চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেওয়ার তাগিদ
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রযুক্তিগত গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেওয়ার ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, বর্তমান যুগ টেকসই উন্নয়নের। আর এই উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি। এই দুটি বিষয়ের পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তিতে যত বেশি জোর দেওয়া যাবে, শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা তত বেশি সহজ হবে। উন্নত, আধুনিক ও টেকসই প্রযুক্তির লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে দুই দিনব্যাপী ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি ৫.০’ শীর্ষক পঞ্চম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ আয়োজিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, ভারত, ইরান, মালয়েশিয়া ও ডেনামার্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষক ও গবেষকরা অংশ নেন। গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দেন সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কেএম ওয়াজেদ কবির এবং সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ। সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ যত এগুচ্ছে, প্রযুক্তি খাতের চাহিদা তত বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের যথাযথ ব্যবহারই আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নেবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, বর্তমান সরকার তথ্য-প্রযুক্তি ও বহুমাত্রিক গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে। এর মাধ্যমেই আগামীতে সমৃদ্ধ ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নপূরণ হবে। সুতরাং একটি টেকসই সমাজ গঠনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পাশাপাশি গবেষণা ও উদ্ভাবনে নজর দিতে হবে। সম্মেলনকে গবেষণা ও জ্ঞান বিনিময়ের প্ল্যাটফর্ম আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস, আগামীতে এর মাধ্যমেই জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। গ্রিন ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এসটিআই সম্মেলন গবেষণা ও উদ্ভাবনে শুধু পারস্পারিক সম্পর্কই বৃদ্ধি করবে না, অ্যাকশনধর্মী কাজেও সহায়তা করবে। তিনি বলেন, এখন জীবনের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সাসটেইনেবল টেকনোলজির ভূমিকা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমাদেরকেও সেই পথে হাঁটতে হবে। সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশে অনেক হিউম্যান ব্রেইন থাকলেও হিউম্যান রিসোর্সের বড্ড অভাব। এই বৃহৎ জনশক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই তালিকার শীর্ষস্থানে থাকলেও ভারত-চীনের মতো দেশের সেখানে চান্স হয়নি। বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫তম। এক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে সিঙ্গাপুর ও রিপাবলিক অব কোরিয়া। আগামী দিনে এসব বিষয়ে কীভাবে উন্নতি করা যায়, সে বিষয়ে ভাবার আহ্বান জানান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে সম্মেলনের নানা দিক তুলে ধরেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ। তিনি বলেন, এসটিআই সম্মেলন এর মধ্যেই দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আগামী দিনে এর কলেবর আরো বৃহৎ হবে।