খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। পিঠা উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টিএম জাকির হোসেন। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৩৮টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছিল এবারের দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। আর সেসব স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে বাহারি নাম, দেশীয় সাজসজ্জা আর হরেক রকমের পিঠাপুলি। মেলা শেষ হয় বিকাল ৫টায়। সরেজমিন দেখা গেছে, পিঠার মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পাসজুড়ে। হরেক রকমের পিঠাপুলি নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি স্টল। বেলুন, প্ল্যাকার্ড আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নানা নামে বাহারি সাজের সুস্বাদু পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছে উৎসবে। পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- চিতই, ভাপা, পুলি, পাটিসাপটা, দুধচিতই, নকশি পিঠা, গোলাপ পিঠা ও জামাই পিঠার মতো বাহারি নামের পিঠা। শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনায় কোলাহলমুখর হয়ে উঠেছে উৎসবস্থল। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদা নাহিন ঐন্দ্রিলা বলেন, পিঠা বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠা উৎসবে এসে অনেক ভালো লাগছে। নানা স্বাদে মুখরোচক পিঠা খেয়েছি। পিঠা উৎসবের এ কৃষ্টিকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। গণিত বিভাগের অনার্স প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেবুবা রহমান বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধারণ ও সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে আমাদের এ আয়োজন। নগর সংস্কৃতির প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া পিঠা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে মেলার মাধ্যমে।