ঢাবির মুহসীন হল পুনর্নির্মাণের দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছে ওই হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গতকাল হলের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্যের অফিসে এ স্মারকলিপি দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে সংকট থেকে মুক্তির জন্য বিজ্ঞ প্রকৌশলীসহ ভবনটি পরিদর্শন করে পুনর্নির্মাণের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি নিয়ে গেলে উপাচার্য দুজন প্রতিনিধিকে অফিসে ডেকে নিয়ে সেটি জমা নেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন। তবে নতুন ভবন নির্মাণের সুনির্দিষ্ট কোনো সময় জানাননি তিনি। মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের সময় নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানান উপাচার্য। গত ২ ডিসেম্বর ভূমিকম্পে মুহসীন হল ভবনের বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হলের বারান্দার কার্নিশ, রিডিং রুমের গ্লাসসহ বিভিন্ন কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ে। বিশেষ করে ১৯৬৭ সালে স্থাপিত হলের ৬তলা ভবনটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে নামতে গিয়ে গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঢাকতে হল প্রাধ্যক্ষের উপস্থিতিতে হলের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা লাগানো ও ইটের দেয়াল তুলতে দেখা যায়। হলের দুর্বল অংশ ঢাকতে এসব কাজ ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো’ বলে দাবি করেন হলের শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি রুমের পলেস্তারা খসে পড়ছে, বাইরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। প্রশাসন শুধু চুন, সুরকি দিয়ে ঢালাই দিচ্ছে, যেটা কোনো কাজে আসবে না। ভূমিকম্পে যে কোনো সময় আমাদের হলটি ধসে পড়তে পারে। আমরা মৃত্যুঝুঁকিতে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন ভবন নির্মাণের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত, অন্যথায় বড় দুর্ঘটনা হলে কেউ দায় এড়াতে পারবে না। এ বিষয়ে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা হলের একটি অংশ সংস্কার করছি, যা আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বিভিন্ন রুমের পলেস্তারা লাগানোর কাজ এখনো শুরু হয়নি। তবে আমরা চাইছি দ্রুত ঝুঁকি কমিয়ে আনার। এখন ভবনের অবস্থা সম্পর্কে ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের লোকজন ভালো বলতে পারবে। তবে আমি আমার পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দেখা দিতেই সমাধানের চেষ্টা করি।