যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে আগামী বৃহস্পতিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন ও ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ মহান বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচিতে থাকছে ১৪ ডিসেম্বর সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করে প্রার্থনা।
সকাল ১০টায় চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে শোক র্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেষ হবে। পরে চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর চবি উপাচার্য দপ্তরের সভাকক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবির উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ চবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কর্মসূচিতে থাকছে ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে মহান বিজয় দিবসের সূচনালগ্নে বিউগল ও ট্রাম্পেট বাজিয়ে মহান বিজয় দিবসকে স্বাগত জানানো, ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা। সকাল ১০টায় চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) চবি স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদ পর্যায়ক্রমে স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে চবি স্বাধীনতা স্মারক ভাস্কর্য চত্বর থেকে বিজয় র্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে শেষ হবে।